‘দবির সাহেবের সংসার’
এখানে আমি দবির সাহেবের বাড়ির গৃহকর্মী চুমকির চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার সঙ্গে কুদ্দুস ও আক্কাস নামে আরও দুজন ওই বাড়িতে কাজ করে। এরা দুজনেই আমাকে ভালোবাসে, যা নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ লেগেই থাকে। অন্যদিকে রগচটা স্বভাবের দবির সাহেব সাবেক জজ, আমাদেরকে তার বাড়িতে কাজ করার শর্ত হিসেবে বলেন, প্রথম মাসে যে ভালো কাজ করবে তার চাকরি স্থায়ী হবে। কিন্তু যে খারাপ করবে সে চাকরি হারাবে। আমার বিপরীতে কুদ্দুস চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাপ্পি। চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং করতে গিয়ে যে পরিমাণ আনন্দ পেয়েছি, তা অন্য কোনো শ্যুটিং এ পাইনি। কারণ এটা সম্পূর্ণ কমেডিধর্মী চলচ্চিত্র। আর এ ধরণের চলচ্চিত্রে এবারই প্রথম কাজ করলাম।
গীতিকার মাহি
আমার লেখা ‘তুমি একটুখানি দূরে যেও একটু থেকো পাশে, তুমি একটুখানি ভালবেসো অনেক ঘৃণা শেষে’ শিরোনামের গানটা সৈকত নাসিরের ‘দেশা-দ্য লিডার’ ছবিতে ব্যবহৃত হবে।
ঘটনাটার শুরুতে একদিন নিজের অজান্তেই কয়েকটা লাইন লিখে ফেললাম এবং সৈকত ভাইকে দেখালাম। তিনি শফিক ভাইয়ের সঙ্গে ওই লেখাটা নিয়ে বসলেন। এরপর শুনি এটা গান হয়ে গিয়েছে। তাই ভাবছি অভিনয়ের পাশাপাশি গান লিখলেও মন্দ হবে না।
‘হানিমুন’ শেষ!
না এখনও শেষ হয়নি, কক্সবাজারে প্রথম লটের শ্যুটিং শেষ করেছি। সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত এই ছবিটির শ্যুটিং করতে গিয়ে অনেক মজা হয়েছে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, বিয়ের আগেই জেনে গেলাম কিভাবে হানিমুনে যেতে হয়। খুব দ্রুত ছবিটির কাজ শেষ করা হবে। তারপর সবাই আমার হানিমুন দেখতে পাবেন।
শ্যুটিংয়ে কান্না
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আমি। তাই ছোটবেলা থেকেই সবার আদর পেয়ে বড় হয়েছি। কখনও কোন কষ্ট পেতে হয়নি আমাকে। তাই জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘ময়নামতি’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে সত্যি সত্যি কেঁদে ফেলেছিলাম। ছবির একটি দৃশ্যে আমার বিয়ের দিন, বাবা মা’র কাছ থেকে বিদায় নেয়ার সময় কাঁদছি। তবে সেদিন এতো কান্না কোথা থেকে এলো তা আমি এখনও জানি না।
চলচ্চিত্রের বাইরে
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়ছি। চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করার অনেক আগে থেকেই স্বপ্ন দেখতাম ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার। তাছাড়া ফ্যাশন ডিজাইনার হলে নিজের জন্যে মনের মতো পোশাক ডিজাইন করে পরা যাবে।