নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৮ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় যুক্ত হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আলু। সরবরাহ কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এদিকে হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার (৮ জুলাই) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রতিটি সবজির দোকানেই আলুর যথেস্ট সরবরাহ রয়েছে প্রতিটি দোকানেই বস্তা বস্তা আলু সাজিয়ে রাখা, এরপরও দাম উর্দ্ধমুখী। ঈদের আগে যে দেশিয় লোকাল আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল বর্তমানে তা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই জাতের হিমাগারে থাকা আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে যা ঈদের আগে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া কাটিনাল নামের বড় আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে যা ঈদের আগে ৩০ টাকা ছিল।
হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা রুহুল আমিন বলেন, বাজারে যে হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে করে আমাদের মত সাধারণ মানুষদের বেঁচে থাকা খুব কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। তেল চাল ডাল থেকে শুরু করে এই সময়ে আদা, রসুন ও কাঁচামরিচের যে দাম তাতে করে আমাদের কোন হিসেব মিলছে না। এক হিসেব করে বাজার করতে টাকা নিয়ে আসছি কিন্তু বাজারে এসে পণ্যের দাম শুনে সব হিসেব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
আর এক ক্রেতা শাকিল বলেন, সকালে আলু কিনতে এসে দেখি দাম বেড়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ কিভাবে কি করবো যদি আলুর দামও বেড়ে যায় এভাবে।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা আবু সালেহ বলেন, এবারে অনেক কৃষক আলু না আবাদ করে সরিষার প্রতি ঝুঁকেছিলেন যার কারণে এবারে অন্যান্য বছরের তুলনায় আলুর উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। এছাড়া আমাদের হিলিতে তেমন আলুর আবাদ হয় না। এসব আলু পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার কালাই ও ক্ষেতলাল অঞ্চল থেকে কিনে এনে বিক্রয় করা হয়। বর্তমানে কৃষকের ঘরে তেমন কোন আলু নেই অল্প কিছু সংখ্যক রয়েছে যেটি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন বাজারে যেসব আলু বিক্রি হচ্ছে বেশীরভাগই হিমাগারের আলু। হিমাগারেই আলুর দাম বাড়তি যার কারণে আমাদের বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সেই হিসেব মোতাবেক বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারদের নিকট থেকে যে দামে আলু কিনছি তার সঙ্গে ২ থেকে ৩ টাকা লাভ যোগ করে বিক্রি করি। বর্তমানে কৃষকের কাছে থাকা লোকাল দেশিয় আলু ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আর একই জাতের হিমাগারের আলু ৪২ থেকে ৪৩ টাকায় কিনে ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি। এছাড়া কাটিনাল আলু ৩২ টাকায় কিনে ৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। বাজারে নতুন আলু না উঠা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর এর সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, অহেতুক কেউ যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় কোন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য আমরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছি। এসময় বিক্রেতাদের ক্রয় বিক্রয়ের ম্যামো দেখে দামের বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখছি। তারা কি দামে কিনছে আর কি দামে বিক্রি করছে সেটি খতিয়ে দেখছি। এক্ষেত্রে যাদের গাফিলতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।
Posted ০৮:৫৩ | শনিবার, ০৮ জুলাই ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain