| সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
সারাদেশে আজ সোমবার একযোগে শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা । সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়, চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন।
এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন।
সূচি অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ১১ মে হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকালের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা ও বিকেলের পরীক্ষা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে এবং প্রশ্নফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঠেকাতে এসএসসি পরীক্ষার মত এ্যলুমোনিয়ামের তৈরি বিশেষ ‘সিকিউরিটি খাম’। এছাড়া প্রত্যেকটি কেন্দ্র উপকেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে বোর্ড কর্তৃপক্ষের গঠিত ৫টি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে আবশ্যিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এরপর পরীক্ষা কেন্দ্রে এলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নং ও দেরিতে আসার কারণ উল্লেখ করতে হবে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফিচারফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি মোতাবেক খুলতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যে কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে; নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কোনো প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান প্রধান বা শিক্ষক কোনভাবে পাবলিক পরীক্ষায় বেআইনি কোনো কাজ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল, দোষী শিক্ষক ও কর্মচারীগণ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তার এমপিও স্থগিত করে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য গভর্নিং বডিকে বলতে হবে।
কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অঙ্কের টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১ এপ্রিল থেকে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
Posted ১২:৪৫ | সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain