নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঈদুল আজহা সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দের মধ্য দিয়ে পালিত হবে। এ ঈদে সারা দেশের মানুষ আনন্দ করলেও বঞ্চিত হবে না কারাবন্দিরাও। তাদের জন্য ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে প্রতিবারের ন্যয়।
কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার বন্দিদের জন্য ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। কারা সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষ্যে কারাবন্দিদের জন্য ১০টি গরু কোরবানি দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কোরবানির উদ্দেশে ১০টি গরু কারাগার এলাকায় আনা হয়েছে। এছাড়া যারা গরুর মাংস খান না তাদেরসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য ঈদের দিন ৭টি খাসি জবাই করা হবে।
কারা সূত্রে আরও জানা যায়, ঈদের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনবেলা কারবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ঈদের দিন তাদের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঈদের দিন সকালে বন্দিরা যা খাবেন-
সকালের খাবার
ঈদের দিন সকাল ৭টায় সব কারাবন্দিদের জন্য নাস্তা দেওয়া হবে। সকালের নাস্তায় থাকবে পোলাও, চালের পায়েস ও মুড়ি।
দুপুরের খাবার
ঈদের দিন দুপুরে কোরবানি করা গরুর মাংসসহ আরও বেশ কয়েকটি পদের খাবার কারাবন্দিদের জন্য রান্না করা হবে। এদিন দুপুরে কারাবন্দিদের জন্য পোলাও, মুরগির রোস্ট ও কোরবানির গরু মাংস রান্না করা হবে। আর যারা গরুর মাংস খান না তাদেরসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য খাসি জবাই করা হবে। এছাড়া দুপুরের খাবারে তাদের জন্য মিষ্টি, কোমল পানীয়, সালাদ ও পান-সুপারির ব্যবস্থা থাকবে।
রাতের খাবার
ঈদের দিন শেষে রাতেও বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হবে। রাতের খাবারে থাকবে সাদা ভাত, রুই মাছ, ডিম ভুনা ও আলুর দম।
কারাগারে ঈদের দিনের সার্বিক আয়োজন নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের দিন সকালে নাস্তা খেয়ে বন্দিরা কারাগারে খোলা ময়দানে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করবেন। জামাত শেষে সারা দিনব্যাপী নানা আয়োজন চলবে তাদের জন্য। ঈদের দিনে তাদের বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ খেলাধুলারও আয়োজন করা হবে। এছাড়া আত্মীয়দের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ, মোবাইলে কথা বলাসহ বাড়ির তৈরি রান্না করা খাবার সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা মুসল্লিদের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই এ উপলক্ষ্যে কারাগারের বন্দিরা যেন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যসহ আনন্দ উদ্দীপনার মাধ্যমে ঈদ পালন করতে পারেন তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সূএ :ঢাকা পোস্ট ডটকম
Posted ০৮:০৩ | বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain