| সোমবার, ০১ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশের বিদ্যমান ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সাইবার অপরাধীদের দমনের কথা থাকলেও সরকার তা অপপ্রয়োগ করে বিরোধী মতের সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষদের বাক স্বাধীনতা হরণ করছে। এর মাধ্যমে সরকার নিজেদের অন্যায় অত্যাচার জাতির কাছে লুকিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চাইছে। তাই বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিকাশে প্রফেশনাল ইন্টেগ্রিটি ও ভলান্টারি সেল্ফ রেগুলেটরি বডি প্রতিষ্ঠা করা দরকার। রোববার লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনালের ( ইআরআই ) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত অনলাইন সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগে বাংলাদেশে সাংবাদিক গুম ও নিগ্রহের শিকার’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত সেমিনার সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক মাহবুব আলী খানশূর। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন। আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা করেন ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষনা প্রতিষ্ঠান রাইট টু ফ্রিডমের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং জাস্টনিউজবিডির সম্পাদক ও হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধি মুশফিকুল ফজল আনসারী, ফিল্ম ডিরেক্টর ও ব্রডকাস্টার জুবায়ের বাবু , লেখক ও সাংবাদিক কাফি কামাল , তুরস্কের আনাদুলু এজেন্সির বাংলাদেশ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান বাবলু , সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শফিকুল ইসলাম জুয়েল এবং ডিজিটালি নিরাপত্তা আইনে মামলার শিকার ডিএনএন নিউজের সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান খোকা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশী ডায়াস্পোরা জার্নালিস্ট, মানবাধিকার কর্মী ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ জুমের মাধ্যমে ওই সেমিনারে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। দ্বিতীয় পর্ব ছিলো প্রশ্নোত্তর। এ পর্বে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রশ্ন করেন আলী শাহজাদা, নউশীন মোস্তারী মিয়া সাহেব, আল আমিন, মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাছউদুল হাসান, কাজী মোঃ নুরুজ্জামান , সাইফুর রহমান , আবু জাফর আব্দুল্লাহ , ফাহাদ ইকবাল , মাহবুবুর রহমান, জুবায়ের আহমেদ, জিয়াউর রহমান, ইসতিয়াক আহমদ প্রমুখ। অংশ গ্রহণকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্যানেলিস্টরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশে প্রেস ফ্রিডম সংকোচনে আইন প্রণয়ন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের চরমভাবে নির্যাতন, গুম ও হত্যার লোম হর্ষক বর্ণনা তুলে ধরেন। বৃহত্তর মানব সমাজের কল্যানে সংবাদ কর্মীদের প্রফেশনাল ইন্টেগ্রিটি ও সংবাদ পেশার রেগুলশনের জন্য একটি ভলান্টারি সেল্ফ রেগুলেটরি বডি গঠনের জন্য প্রস্তাব করেন তারা। উন্নত দেশের মতো গণমাধ্যম মনিটর করার জন্য নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হয় সেমিনারে।
Posted ২১:৩৮ | সোমবার, ০১ জুন ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Mahbub