নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে আজ টাকা নেই। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দশ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। বিভিন্ন দেশে ঘর-বাড়ি কিনেছে। রিজার্ভ খালি তাই দেশের মানুষের জন্য পণ্য আমদানি করতে পারছে না। যার জন্য দ্রব্যমূল্যর দাম আজ আকাশচুম্বী।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউরি দলীয় কার্যালয়ের সামনের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বলেন।
আমীর খসরু বলেন, যারা জনগণের অর্থ চুরি, ব্যাংক লুটপাট ও মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ তাদের পকেট ভর্তি টাকা। পণ্যর বাজারমূল্য যতই বাড়ুক তাদের সমস্যা হবে না। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক তারা। তারা বেহেশতে আছে। আগামীতে বেহেশতে যাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। যারা নির্যাতিত হচ্ছে, কারাভোগ করছে, অত্যাচারে মারা গেছে…তারাই বেহেশতে যাবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী বসবাস করছে। সামনে তারা আরও একাকী হয়ে যাবে। তখন তারা আর জনগণের কাছে যেতে পারবে না। তাদের আশ্রয়স্থল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারী কিছু কর্মকর্তা এবং দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা। তারা কি তাদের বাঁচাতে পারবে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ সংবিধানকে সুরক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে জনগণকে সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। আপনারা যদি জনগণের বিশ্বাস, আস্থা, সম্মান রক্ষা করতে না পারেন তাহলে দেশে আইনের শাসন প্রবর্তন করতে পারবেন না। গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, ভয়-ভীতি দেখিয়ে সংবিধান রক্ষা করতে পারবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। আপনারা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না। আপনারা আজ ব্যর্থ।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আরেকটি ধাপ আমরা এগিয়ে গিয়েছি। পলোগ্রাউন্ডের জনসভার পর আজকে এবং ২৪ তারিখের গণমিছিলে চট্টগ্রামবাসী আবারো প্রমাণ করেছে—তারা অবৈধ সরকারকে আর চায় না।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও ভিপি হারুনুর রশীদ।
Posted ১৫:৪৮ | বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain