| শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট
রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নিত্যদিনের সবজি আলু, টমেটো ও কাঁচা মরিচের দাম। প্রায় ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচের কেজি। প্রতিকেজি টমেটোর দাম ঠেকেছে ১০০ টাকায়। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কেজিতে।
শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে বেগুন, বরবটি, কাঁকরোল, করলা, মুলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দলসহ বেশিরভাগ সবজি কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুগদা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাদা আলুর কেজি আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৬ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, শশা ও খিরা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স, ধুন্দল, ঝিঙ্গা, কাঁকরোল ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিস ২৫-৩০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কুমড়ার পিস ৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০-২৪ টাকা দরে। কাঁচা মরিচের কেজি এখন ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়
বাজারটির সবজি বিক্রেতা শহীদ বলেন, গ্রামেগঞ্জে সব জায়গায় এখন বন্যার পানি উঠে গেছে। অনেকের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সবজির দাম এখন একটু বেশি। গত এক দুই সপ্তাহ ধরেই সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি করছি। কারণ আমাদের পাইকারিতে কিনতে হয় বেশি দামে।
গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
মুগদা বাজারের সবজি ক্রেতা আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, সবজি কিনতে গেলেই ৬০ টাকা। দাম করা যায় না, সবার কাছে এক দর। মিডিয়ায় খবর আসে গ্রামের কৃষক সবজির মূল্য পায় না। আর আমরা বাজারে এসে কম দামে কোনো সবজি পাই না। তার মানে ঢাকায় এনেই দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তিন থেকে চার গুণ। আমাদের দেশে এই কারসাজি দেখার কেউ নেই। কথা বলেও লাভ নেই।
এদিকে প্রতি আঁটি লাল শাক ও পালং শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, শাপলা, পুঁই শাক ও ডাটা শাক ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ও কাতল ৩০০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ছোট ১১০ থেকে ১৩০ টাকা; আর বড় ১৮০-২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০-১৬০ টাকা, আইড় মাছ ৪৫০-৬০০ টাকা, মেনি মাছ ৪০০-৫০০, বাইলা মাছ প্রকারভেদে ৩৫০-৪৫০ টাকা, বাইন মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২০০-৩৫০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০ টাকা, দেশি মাগুর ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৬০-২০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা আলমগীর বলেন, আগের তুলনায় মাছের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেশি। গত সপ্তাহে তেলাপিয়া ঘাটে কিনেছি ১১০ টাকা। আজকে কেনা পড়েছে ১৩০ টাকা, খরচসহ ১৪০ টাকা পড়ে গেছে। চিংড়ি কেনা ৫৫০ টাকা। পাইকারিতে যদি এতো বেশি দাম হয় খচুরা বিক্রি করবো কতো? এরকম সব মাছেরই দাম বাড়তি।
রাজধানীর বাজারগুলোতে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। এছাড়া এক কেজি ওজনের প্রতিটি কক মুরগি ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Posted ১৫:৩৭ | শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain