| সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
পপগুরু আজম খানের জন্মদিন আজ। ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। তার জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন না থাকলেও তার অগণিত ভক্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সহকারে স্মরণ করছেন প্রিয় শিল্পীকে। সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের মতো করে অনেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পপ সম্রাটকে।
আজম খানের প্রকৃত নাম ছিল মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। ২০১০ সালে তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১১ সালের ৫ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
আজম খান ৫ বছর বয়সে ভর্তি হন ঢাকেশ্বরী স্কুলে। ১৯৭০ সালে টি অ্যান্ড টি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচারে অংশ নেন তিনি। এরপর ১৯৭১ সালে পাক হানাদারের বিরুদ্ধে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। কুমিল্লা ও ঢাকার আশেপাশে সেকশন কমান্ডার হিসেবে অনেকগুলো গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন তিনি।
দেশ স্বাধীন হলে ‘উচ্চারণ’ নামে একটি ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন আজম খান। দেশের সংগীত জগতে তখন দারুণ আলোড়ন তোলে ব্যান্ড দলটি। ১৯৭২ সালে তার ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি বিটিভিতে প্রচার হয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। পরে বিটিভিতে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গান গেয়ে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিলেন।
পপ সম্রাটের প্রথম কনসার্ট প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৭২ সালে। সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।
আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘একসিডেন্ট’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’, ‘অনামিকা’, ‘আমি যারে চাইরে’ ইত্যাদি।
আজম খান ভালো সাঁতারু ছিলেন। নতুন সাঁতারুদেরকে মোশারফ হোসেন জাতীয় সুইমিং পুলে সপ্তাহে ৬ দিন সাঁতার শিখাতেন। ২০০৩ সালে তিনি গডফাদার নামক একটি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করেন।
Posted ০৭:০১ | সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain