সিডনি প্রতিনিধি ( অষ্ট্রেলিয়া ) : আমেরিকা ভিত্তিক একটি এনজিও গ্লোবাল সামিট অফ উইম্যান এর সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার সিডনীতে আসলে তার আগমনের প্রতিবাদে সম্মেলন স্থলের বাইরে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা সমবেত হন। গত ২৭ এপ্রিল ২০১৮ শুক্রবার বিকেল ৫ টায় ডার্লিং হারবার এলাকায় কনভেনশন সেন্টার চত্বরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অষ্ট্রেলিয়া শাখার ও অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত এ উদ্যোগের সাথে সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও একাত্ততা ঘোষণা করে যোগদান করেন। এ প্রতিবাদ সমাবেশে সিডনি সহ অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে আগত সাধারণ বাংলাদেশীরা তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশে চলমান গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তাদের সমর্থন জানান।
বিভিন্ন স্লোগানে এসময় কনভেনশন সেন্টার চত্বর মুখরিত হয়ে উঠে। উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা সমস্বরে শেইম অন হাসিনা,সে নো টু ডিক্টেটর শেখ হাসিনা, কিলার হাসিনা ইজ নট ওয়েলকামড ইন অস্ট্রেলিয়া,ফ্রি মাদার অফ ডেমোক্রেসি, আমার নেত্রী আমার মা বন্দি রাখতে দেবনা ইত্যাদি স্লোগানে উপস্থিত সবাই প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। শেখ হাসিনার মত একজন স্বৈরাচারী শাসককে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মুক্তচিন্তা ও বহুমাত্রিক সংস্কৃতির দেশ অষ্ট্রেলিয়াতে স্বাগত জানানো সম্ভব নয় বলে সমাবেশে অগতরা উল্লেখ করেন। তারা বলেন প্রত্যেক বাংলাদেশীর উচিত শেখ হাসিনার প্রকৃত রুপ ও বাস্তবতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তোলা।
সকলের হাতে এসময় শোভা পাচ্ছিল গুমখুনের স্বীকার হওয়া মানুষদের ছবি, খালেদা জিয়ার ছবি, শেখহাসিনার ব্যাঙ্গাত্বক ছবি সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লিখা প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার। সবচেয়ে লক্ষণীয় ছিল একটি বিশাল বিজ্ঞাপনী মোবাইল ট্রাক যার চার পাশ ইংরেজি ভাষায় লিখা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান, ছবি ও কার্টুন দিয়ে সাজানো ছিল।
বিক্ষোভকারিদের শান্তিপুর্ন কিন্তু সরব উপস্থিতির কারণে শেখ হাসিনা কনভেন্সন সেন্টারের মূল দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে পেছনের সার্ভিস এন্ট্রি দিয়ে প্রবেশ করেন। এরপর আয়োজকরা বিক্ষোভের সমাপ্তি ঘোষণা করে জানান গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের দেশ অস্ট্রেলিয়াতে শেখ হাসিনা যেখানেই যাবেন সেখানেই তাকে প্রতিরোধ করা হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি অস্ট্রেলিয়া ও কমিনিউটি সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো:দেলোয়ার হোসেন,মনিরুল হক জর্জ, আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামিম,শিবলি আব্দুল্লাহ,মোঃ মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ,ডঃ হুমায়ের চৌধুরী রানা,মোহাম্মদ লুতফুল কবির,নাসিরুল্লাহ,সাইফুল্লাহ খালিদ, লিয়াকত আলী স্বপন, ডাঃ আব্দুল ওহাব, হাবিব মোহাম্মদ জকি,মোহাম্মদ রাশেদুল হক, আবুল হাসান, মোহাম্মদ হায়দার আলী, কুদরতরউল্যাহ লিটন, আরিফুল হক,একে এম ফজলুল হক শফিক,এসএম নিগার এলাহী চৌধুরী, খন্দকার নাফিস আহমেদ, ইব্রাহিম খলিল মাসুদ,তৌহিদুল ইসলাম, সোহেল ইকবাল,আবু সাইয়েদ শিবলু গাজী, মোঃ রেজাউল হক,মোঃ মোবারক হোসেন,জাকির আলম লেনিন,ওলি আহমেদ,আলমগীর হোসেন,মোঃফারুক খান,নাসিম উদ্দিন আহম্মেদ,এএন এম মাসুম,সাইয়েদা খানম আংগুর, তোরাব আহমেদ,ইলিয়াস,ইয়াসির আরাফাত সবুজ,জাকির হোসেন,হাবিবুর রহমান,আব্দুস সামাদ শিবলু,জাকির লিটন,মোঃরুহুল আমিন,আবুল কালাম আজাদ,খাইরুল কবির পিন্টু,আব্দুল মতিন, ইন্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম শামীম,আশরাফুল আলম রনি,আজাদ কামরুল হাসান,জাহাংঙ্গীর আলম,আশিক সরকার,জাকির হোসেন রাজু,আবু সায়েম সুমন,আব্দুল্লাহ আল মামুন,মোহাম্মদ জুম্মন হোসেন,জেবল হক জাবেদ,ফেরদৌস অমি,মুন্নি চৌধুরী,মিতা কাদরী,মোহাম্মদ ইউসুফ,মোঃআবুল কাশেম,আনিসুর রহমান,সালাম মিয়া,নজরুল ইসলাম,শফিকুল ইসলাম,মোঃরাশেদ খান,হুমায়ুন কবির,আব্দুল করিম,মিজানুর রহমান,রিপন মিয়া,ইয়াসির আরাফাত অপু ও জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
Like this:
Like Loading...
Related