| শনিবার, ০২ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট
পাকিস্তানে আটকের ৬০ ঘণ্টা পর ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান ভারতে ফিরেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের আট্টারি-ওয়াঘা সুসংহত চেক পোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখেন অভিনন্দন। গোটা ভারত অভ্যর্থনা জানিয়েছে তাকে। আর এ সবের মধ্যেই উঠে আসছে এক চমকপ্রদ তথ্য। অভিনন্দনই প্রথম পাইলট, যিনি মিগ যুদ্ধবিমান নিয়ে ধ্বংস করেছেন মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এর আগে কোনো মিগ বিমান এই কাণ্ড করে দেখাতে পারেনি বলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। খবর দ্য ওয়ালের।
বিমান বাহিনীর দেওয়া তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ২৪টি যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৮টি বিমান তাদের পথ আটকায়। একটি পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পিছু নেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সেনার ৫১ স্কোয়াড্রনের এই মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, একটি রাশিয়ান ভিম্পেল আর-৭৩ মিসাইল তাক করে ওই পাকিস্তানি এফ-১৬-এর উপর। এই মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয় মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি এফ-১৬।
ভারতে যে পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এসেছিল, তা নাকচ করেছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের দাবি মিথ্যা। বিমান বাহিনীর পক্ষে একটি এআইএম-১২০ ‘আমরাম’ মিসাইলের টুকরোও দেখানো হয়েছে। এই মিসাইল কেবলমাত্র পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানেই থাকে। এমনকী পাকিস্তানি অধিকৃত কাশ্মীরে ভেঙে পড়া এফ-১৬-এর ছবিও দেখায় বিমান বাহিনী। এর থেকেই পরিষ্কার ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেছিল এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং তা ধ্বংস হয়েছে। ‘আমরাম’ মিসাইল তাক করা হয়েছিল অভিনন্দনের মিগ-২১ এর দিকে। দুটি মিসাইলের মধ্যে একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও অন্যটি এসে লাগে অভিনন্দনের বিমানে। তারপরেই এমারজেন্সি এক্সিট করতে বাধ্য হন তিনি।
বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিগ বিমানের থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধবিমান মিগের থেকে বেশি দূর থেকে ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়তে পারে। আর সে জন্যই ওই এফ-১৬-এর উপর আর-৭৩ মিসাইল তাক করার পরেও অভিনন্দনকে পিছনেই থাকতে হয়েছিল। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন, যাতে এফ-১৬ ধ্বংস হয়। এর এই করতে গিয়েই তাঁর নিজের বিমান ধ্বংস হয়। এফ-১৬ বিমান থেকেও দুই পাইলটকে প্যারাশুটে করে ঝাঁপ মারতে দেখা গেছে। তবে তাঁরা কোথায় গিয়ে পড়েছেন তা নিশ্চিত নয়।
অবশ্য ইসরায়েল-সিরিয়া যুদ্ধের সময়েও মিগ বিমানের আঘাতে এফ-১৬ বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে ভারতের দাবি, তার কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন
Posted ১৩:১৭ | শনিবার, ০২ মার্চ ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain