| শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
ব্রিটেন প্রতিনিধি
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) এর চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দ। বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে বিবৃতিতে সাবেক ছাত্রদল নেতারা উৎকন্ঠাও প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, নিজে খাবার খেতে পারেন না, ঠিক মতো হাঁটতে পারেন না। তার জীবনের হুমকি দেখা দিয়েছে এখন। সুস্থ অবস্থায় ফিরে না আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খালেদা জিয়ার নামে যেসব মামলা আছে তার সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এমতাবস্থায় আমরা তার অবিলম্বে মুক্তি দাবী করছি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন যখন কারাগারে যান তখন সবাই দেখেছেন তিনি অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে গিয়েছেন। আজকে তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, নিজে খাবার খেতে পারেন না, ঠিক মতো হাঁটতে পারেন না। তিনি যে হাসপাতালে রয়েছেন সেখানে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সম্ভব নয়। তার জামিন তার অধিকার। তিনি জামিন পেতে পারেন। কিন্তু সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তার জামিন আটকে রেখেছে এবং তার জামিন যেন না হয় সেজন্য তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। অসুস্থ অবস্থায়ই এক বছরের বেশি সময় আগে তাঁকে জেলে নেয়া হয়। রাখা হয় নাজিমউদ্দিন রোডের জনমানবহীন পরিত্যাক্ত কারাগারের স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে। জেলে নেয়ার পর চিকিৎসায় উপর্যুপরি অবহেলার কারণে তাঁর অসুখের মাত্রা বেড়ে যায়। নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বেগম জিয়া নিজেই আদালতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানাতে বাধ্য হন। আমরা গভীর উৎকণ্ঠার সঙ্গে বলতে চাই, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে করা একটি উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট কিংবা চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তাছাড়া যে দুই কোটি টাকা নিয়ে মামলা, সেই দুই কোটি টাকার একটি টাকাও নষ্ট হয়নি। ইতোমধ্যে সেই টাকা ব্যাংকে তিনগুণ বেড়ে ছয় কোটিরও বেশি হয়েছে। কিন্তু প্রবীণ বয়সে অন্যায়ভাবে শাস্তি পাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। এই মামলায় উচ্চতর আদালত থেকে জামিন হওয়া সত্ত্বেও এক বছরের বেশি সময় ধরে নানান ফন্দিফিকির করে তাঁকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ৩৪টি হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাঁর মুক্তিলাভে সুকৌশলে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আপসহীন, অসামান্য নেত্রী। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তিনি। তাঁর ন্যূনতম মৌলিক মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বন্দি রেখে তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া অমানবিক, অযৌক্তিক, প্রতিহিংসামূলক এবং অগ্রহণযোগ্য। আমাদের প্রত্যাশা, অনতিবিলম্বে সরকার তাঁকে মুক্তি দিয়ে গণতন্ত্র ও গণমানুষের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
বিবৃতি দাতাদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জগলু (আমেরিকায় অবস্থানরত), যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসিম, কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জিয়া হলের সাবেক ভিপি মনোয়ার হোসেন রানা ও সাবেক ভিপি ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ (কানাডায় অবস্থানরত), যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি বুয়েটের সাবেক ভিপি ইঞ্জিনিয়ার তারেক বিন আজিজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন টিপু, নাজমুল হাসান জাহিদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইশতিয়াক মাহবুব, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা গোলাম জাকারিয়া, কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রিবলু আহমেদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও রাজবাড়ি জেলার বিএনপির উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ভিপি কাউসার পারভিন (আমেরিকায় অবস্থানরত), কানাডায় অবস্থানরত জহুরুল হক হলের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তানজিলুর রহমান, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও অস্ট্রেলিয়া বিএনপি সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন আরিফ, ঢাকা জেলার ছাত্রলের সাবেক নেতা ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সাবেক সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের নেতা মাইনুল ইসলাম মহিদ প্রমুখ।
Posted ১৯:০৭ | শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Mahbub