| শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযানে বেড়িয়ে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য ।এরই মধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে আওয়ামী নামধারী অনেক কথিত নেতারা। আবার একদল সুযোগ সন্ধানী ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে করছে নানা যোগসাজশ। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামরান শহিদ প্রিন্স মহব্বাত এর নামে। তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্য করার উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার দাবী তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভুয়া কাগজপত্রে বেসিক ব্যাংকের টাকা নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। বেসিক ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যবসায়িক কাজে প্রায় ৮০ কোটি টাকা লোন করা হয়েছিলো এবং ব্যাংকে আমার সি ই বি ঠিক আছে অদ্যাবধি ব্যাংক আমার নামে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু জমি দখল কে কেন্দ্র করে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে এজাহারে আমার নাম ছিল না এবং চার্জশিটেও নেই। আমার পরিচিত কোন আপন জনও এই মামলার আসামি হয় নি। পঙ্গু হাসপাতালে কে কেন্দ্র করে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, পঙ্গু হাসপাতালের ক্যান্টিন ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে অথবা দখল করে নয়, ভাড়ায় পরিচালনা করছেন তিনি। তিনি আরো বলেন ১৯৮৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করেই ক্যান্টিন পরিচালনা করছেন তিনি। বর্তমানে কোন ভাড়া বকেয়া নেই। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ক্যান্টিন পরিচালনা সুবাদে অনেক সুনাম ধন্য ডাক্তারদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর ফলে তিনি এ যাবৎ প্রায় অগনিত গরিব-দুঃখীদের ও অসহায় মানুষদের পঙ্গু হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতাল এবং চক্ষু হাসপাতালের নানা ধরনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার সকল ধরনের ব্যয় ভার নিজ তহবিল হতে সংগ্রহ করেছেন। উলেক্ষ্য, কামরান শাহিদ প্রিন্স মহব্বাত বৃহবৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক,আহবায়ক এবং ১৯৯৬ সালে সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত হন। গেলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দশমিনা-গলাচিপার নমিনেশন প্রত্যাশি ছিলেন। ইতিপূর্বেই তিনি দশমিনা-গলাচিপায় বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, পুল মেরামত, রাস্তা, আবাসন-আশ্রায়নের গরীব মানুষের ত্রান সামগ্রী ও কোরবানী ঈদে প্রধানমন্ত্রীর নামেসহ অর্ধশতাদিক গরু দান করে তার গ্রাম এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। দশমিনা উপজেলায় ৩০০ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল,স্কুল ড্রেস, স্কুল সংস্কারে আর্থিক অনুদান, ৩ টি ইউনিয়নে নিজস্ব অর্থায়নে কাঠের পুল নির্মাণ, জলবায়ু ও পরিবেশ এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৬ টি ইউনিয়নে শত শত বৃক্ষ চারা রোপন, গলাচিপা সদর ইউনিয়নে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ভ্যান প্রদান, দশমিনা উপজেলার ১০ টি স্কুলের আসবাবপত্র প্রদান, আশ্রায়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত গরীব পরিবারের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি বিতরণ, ঈদ উৎসবে নগদ অর্থ ও প্রতিবছর গরুর মাংস বিতরণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরে শহীদ পরিবারের নামে কোরবানী ঈদে গরু কোরবানী দিয়ে মাংস বিতরণ, শীতার্থ গরীব উপকূলীয় মানুষের মাঝে ইতিপূর্বে তিনি ৫০ হাজার কম্বল, ৬০ হাজার শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ সহ ২০১০ সাল থেকে দুই উপজেলার ৩০০ টি মসজিদ সংস্কারে অর্থ প্রদান, ২০ টি মাদ্রাসা সংস্কার ও ৪৮ টি মন্দিরে আর্থিক সহায়তা প্রদান, দশমিনার চাঁনপুরা গ্রাম হাজী মহব্বত কুরআন শিক্ষা মাদ্রাসা স্থাপন করেছেন। দশমিনার আলীপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দানবীর মহব্বাত নামে একটি অডিটরিয়াম নির্মাণ করেছেন। আলীপুরা প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা অনুপ্রবেশকারী বিশেষ করে আমার রাজনীতিতে হাতেখড়ি যেখানে (মোহাম্মদ-পুর) সেই জায়গার রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী ও স্বার্থন্বেষী মহল এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার কারনেই তারা আমার এবং আমাদের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন নেতাকর্মীদের মান সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এবং আগামী সম্মেলনে যাতে আমরা নতুন নেতৃত্বে ছোঁয়া না পাই তাই আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ফ্রীডম পার্টির নেতা পাগলা মিজান, কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব এর ইন্ধনকারী ও এদের আওয়ামী লীগ পরিবারে যুক্ত করার পেছনের রাঘববোয়ালরাই এই নেক্কারজনক মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে এবং তারা এখনও নানা ষড়যন্ত্রে তৎপর বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
Posted ০১:০৮ | শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain