নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগ আমাদের প্রথম প্রেম, ৭৫তম জন্ম দিবসে ৭৫ বার অভিনন্দন জানাই। রাজনীতি কমিটমেন্টের বিষয়, কমিটমেন্ট থাকলে মূল্যায়ন একদিন হবেই।
তিনি বলেন, অনেক সংগ্রাম আন্দোলনের বাঁক পেরিয়ে আজ আমি তিন তিনবারের সাধারণ সম্পাদক, ১৭ বছরের মন্ত্রী। কে আমি? আমি ছাত্রলীগ। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আমরা শেখ হাসিনার নিবেদিত প্রাণ কমিটমেন্ট কর্মী, এটাই আমাদের পরিচয়।
আজ বিকেলে ঢাবির অপরাজেয় বাংলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি, সামনের সময় আরো কঠিন। এ চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতেই হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে হবে। বৈশ্বিক সমস্যা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আমাদের চ্যালেঞ্জ, এ চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতেই হবে। আমি ছাত্রলীগকে বলতে চাই, তোমাদের কাছে ‘স্মার্ট’ নেতৃত্ব চাই।
তিনি বলেন, আমরা আজকে অঙ্গীকার করব, ছাত্রলীগে সুবাস ছড়াব, আলো ছড়াব। যাদের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তাদের আমি বলবো, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নবউদ্যমে যাত্রা শুরু করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আত্মশক্তিতে বলিয়ান। তিনি ক্রাইসিস ম্যান, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা মোকাবিলা করে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। এ ছাত্রলীগ কৃষকের ধান কেটে ঘরে পোঁছে দিয়েছে, করোনার সময় চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এখনো আমাদের অনেক পথচলা বাকি। ছাত্রলীগকে সফল হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সময় বেশি নেই। অনেক চ্যালেঞ্জ-ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা প্রতিকূল স্রোতের মধ্যদিয়ে সাঁতার কেটে যাচ্ছি। এ যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার জয় নিশ্চিত করা পর্যন্ত এ বিজয়ের তরী নিয়ে যেতে হবে। আজ আমরা সেই শপথ নিলাম।
Posted ১৪:৫৩ | শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain