| সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে সোমবার ভোররাতে আঘাত হানা অকাল কালবৈশাখী। ঝড়ের কারণে সুন্দরবনে নৌকাডুবিতে একজন নিহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে দক্ষিণ কলকাতার কসবা, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, ময়দান, বালিগঞ্জ সহ শহরের বহু জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ ও হোর্ডিং। বহু জায়গায় ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুতের তার। টালিগঞ্জের নবীনা সিনেমার কাছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে একটি বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। বালিগঞ্জে গাড়ির উপর ভেঙেছে বাঁশের কাঠামো। একই ছবি সল্টলেকেও। সেক্টর ফাইভে বহু জায়গায় গাছে ভেঙেছে, সেন্ট্রাল পার্কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরস মেলার স্টলও। স্টল মেরামতি কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।
কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও। রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ একধাক্কায় নেমে গিয়েছে ৫ ডিগ্রি। আগামী ৪৮ ঘণ্টায়ও আরও ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
এছাড়া সুন্দরবনের ঝড়খালিতে প্রবল ঝড়ে নৌকা থেকে পড়ে এক পর্যটক মারা গিয়েছেন বলে জানা যায়। ঝড়খালিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন সাতজনের এক পর্যটক দল। রবিবার রাতে মাতলা নদীতে নৌকাতেই ছিলেন তারা। ভোরের দিকে যখন ঝড় ওঠে্, তখন পাড়ের দিকে ফিরছিলেন পর্যটকরা। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রবল ঝড়ে জেটিতে ধাক্কা লেগে উলটে যায় নৌকাটি। জলে ডুবে মারা যান বছর বাইশের এক পর্যটক। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
কালবৈশাখীতে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল।
হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। আটকে পড়েছে গণদেবতা এক্সপ্রেস ও কোলফিল্ড এক্সপ্রেস। ধীর গতিতে চলছে বিভিন্ন ষ্টেশনে লোকাল ট্রেনও। প্রবল ঝড়ে শিয়ালদহ স্টেশনের ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ফ্লেক্স এসে পড়েছে। আপাতত ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে বন্ধ ট্রেন চলাচল।
শিয়ালদহ বজবজ শাখায় লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলে একটি গাছ ভেঙে পড়েছে। ঢাকুরিয়া স্টেশনের কাছে ধীর গতিতে চলছে লোকাল ট্রেন। দমদম স্টেশনের কাছেও লোকাল ট্রেনের গতি শ্লথ। সবমিলিয়ে অকাল কালবৈশাখীর জেরে সোমবার সকাল থেকে বিপাকে পড়েছে রেলযাত্রীরা।
এদিকে হাওয়া বদলের এই মরসুমে রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিলো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার ভোরে চারটে থেকে কলকাতা শহর এবং সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে, সেইসঙ্গে টানা বৃষ্টি। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়। সেই মুহূর্তে হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৪ কিমি। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার।
Posted ১৩:৩৯ | সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain