নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
চৈত্রের শুরুতেই চাঁদপুরের বাজারে আসছে রসালো ফল তরমুজ। সিয়াম সাধনার এই মাসকে ঘিরে বাজারে তরমুজের রয়েছে বেশ চাহিদা। তবে এখনো পরিপূর্ণ মৌসুম শুরু না হওয়ায় বাজারে ওঠা তরমুজ অপরিপক্ব আবার দামও বেশ চড়া।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ তরমুজ ও কাঁচামালের আড়ৎ শহরের ১০ নম্বর চৌধুরী ঘাটে বরিশালসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রলারে করে তরমুজ আসতে শুরু করেছে। ঘাটে আসার পর তরমুজ আড়তগুলোতে তোলা হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে।
বরিশালের গলাচিপা থেকে আসা কৃষক রুবেল মাতাব্বর বলেন, গত বছর বৃষ্টির কারণে আমাদের তরমুজ জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। এখন আবহাওয়া ঠিক থাকলে লাভবান হব। কিছু তরমুজ চাঁদপুরে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে প্রচুর চাহিদা। তরমুজ কম থাকায় দাম বেশি। সব কৃষক তরমুজ আনা শুরু করলে দাম কমবে।
তরমুজ ক্রেতা মাইনুল ইসলাম বলেন, তরমুজসহ সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। এক একটি তরমুজ ৩০০-৬০০ টাকা। আর একটু বড় আকারের হলে ৬০০-৮০০ টাকা। বাজারে আসা তরমুজগুলো অপরিপক্ব এবং আকারে ছোট কিন্তু দাম বেশি। তবে অধিক মুনাফার আশায় ক্ষেত থেকে অপরিপক্ব তরমুজ বাজারে নিয়ে আসা হয়। এ সময় প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করা উচিত।
চাঁদপুর চৌধুরী ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদার বলেন, গত বছর তরমুজের চাষ করা কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর এখনো মৌসুম শুরু হয়নি। আড়তে প্রতিদিন বেশকিছু তরমুজ আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি। এ জন্য দামও বেশি। কিছুদিন পর একযোগে তরমুজ আসা শুরু হলে দাম এমনেই কমে যাবে।
Posted ০৯:৫০ | বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain