| বুধবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
২০৬ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে প্রায় ৬২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট সিভিএ চট্টগ্রাম কাস্টমস দিয়ে খালাস করা পণ্যচালান যাচাই-বাছাই করে এ অনিয়ম উদঘাটন করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
আমদানি করা কপারের ন্যূনতম শুল্ক পৌনে সাত ডলার। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ১৩টি চালানের মাধ্যমে আমদানি করা কপার মাত্র তিন ডলারে ছাড় করেছে “ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং” নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমন তথ্য উঠে এসেছে সিভিএ’র তদন্তে।
শুধু ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং নয়, এরকম ২০৬ টি প্রতিষ্ঠান মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে ৬১ কোটি টাকার বেশি। অনিয়মকারী ১০টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বি আরবি কেবল, পলি কেবল, এসকিউ ওয়্যার অ্যান্ড কেবল, ইমাজিং টেকনোলজি ও এইচ/এম/সি/এল নিলয়। সিভিএ কর্মকর্তারা বলছেন, আন্ডার ইনভয়েসিং, এইচএস কোড জালিয়াতি ও নূন্যতম শুল্কায়নের অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো এ ফাঁকি দেয়।
অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেনি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। তারা বলছেন, দিনে চার হাজারের বেশি চালান খালাস হয় এখানে। সেই সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু চক্র অনিয়ম করতেই পারে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেয়ার দাবি শুল্ক কর্মকর্তাদের।
অভিযোগ উঠেছে, ব্যবসায়ীদের এই ধরনের শুল্ক ফাঁকির সাথে কিছু শুল্ক কর্মকর্তারও যোগসাজেশ আছে। কাস্টমস হাউজের দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের শুল্কায়নে সব ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি দূর করা সম্ভব বলে মত কর্মকর্তাদের। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
Posted ১৩:৫৩ | বুধবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain