| বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে জানুয়ারির মধ্যেই ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যাস্ত সময় পার করেছেন প্রচার-প্রচারণা, উঠান বৈঠক সহ গণসংযোগে। উল্লেখ্য, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, শ্যামলী ক্লাব, শাহজাহান রোড, বাবর রোডজুড়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে ৪০ হাজার ভোটার থাকলেও প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এই ওয়ার্ডে ৪টি খেলার মাঠ থাকলেও সেগুলো খেলার অনুপযোগী। এর ফলে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়েছে যুবসমাজের একটি বড় অংশ। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে। ফুটপাতে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যতা এখানকার বড় সমস্যা। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অবহেলা, দুর্নীতি, অনুন্নত রাস্তা-ঘাট আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এলাকাটি। এ অবস্থায় দিশেহারা এলাকাবাসী। নানা অভিযোগ অনীহায় নতুন নেতৃত্বের দিকে অনেকটাই ঝুঁকছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে, (ডিনএনসিসি) ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আলোচনায় রয়েছেন ক্লিন ইমেজের অধিকারী সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক মো. সামিউল আলিম চৌধুরী। সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য আমি দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমি সবসময় সুখেঃ দুঃখে এই এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি এবং এবার সুযোগ পেলে আমি আমার ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত করব। ফুটপাত দখলমুক্ত, গ্রিন ওয়ার্ড, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ভূমিদস্যুদের প্রতিরোধ করব। তিনি আরোও বলেন, আমাদের এলাকায় সামাজিক বন্ধন অত্যন্ত দৃঢ়। আগামী দিনে যদি আমার কোনো সুযোগ আসে তাহলে আমাদের মানুষের যে ভাতৃত্ব বা বন্ধন আছে, সেটা যেন আরো দৃঢ় হয় সেই পদক্ষেপ নেব। তৃণমূল ও এলাকাবাসীর প্রত্যাশা- আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একজন নির্লোভ, দুর্নীতিমুক্ত সৎ অভিভাবক। যিনি কাউন্সিলর হিসেবে এলাকাবাসীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোগত উন্নয়নে মনোযোগ দিয়ে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারবেন। এদিকে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছে কমিশন সচিবালয়। খসড়ায় ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৪৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এ সিটিতে সম্ভাব্য ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। এ নির্বাচনে বিদ্যমান ভোটার তালিকাই ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে (ইসি)। দুই সিটিতেই ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)।
Posted ০১:০৮ | বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain