| শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
সিলেট অফিস : দক্ষিণ সুরমা হুমায়ুন রশিদ চত্বরে পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকাগুলি, বিএনটি নেতা আহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনারদিন রাতেই দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই ইবাদুল্লাহ বাদি হয়ে ১৮ দলের পংকি, তাজুল ও কোহিনুরসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০০/৩০০ জন নেতাকর্মীকে আসামী করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হচ্ছেন- মদিনা মার্কেটের বাসিন্দা মোঃ শাহীন (২১), মহানগর বিএনপি’র সেক্রেটারী আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি (৪৮), দক্ষিণ সুরমা থানা বিএনপি’র সেক্রেটারী বর্তমানে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন তাজুরুল ইসলাম তাজুল (৪০), মহানগর বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক (৩৮), মহানগর যুবদলের নেতা কামরুল হাসান শাহীন ওরফে বটলা শাহীন (৩৫), নগরীর খাস্তদবীরের সাহদ আহমদ চমন (৩৫), একই এলাকার সাহেদ আহমদ নয়ন (২৭),মহানগর ছাত্রদল নেতা দোলন আহমদ (২৭), কামালবাজারের নুর উদ্দিন (২৭), দক্ষিণ সুরমা মনখাই’র হুশিয়ার আলী (৪৫), ছাত্রদল নেতা জায়েদ আহমদ (২৫), সিলামের তারেক আহমদ (২২), ওসমানীনগরের এলাইছ (৩১), ছাত্রদল নেতা বদরুল ইসলাম (২৮), ছাত্রদল নেতা মোকছেদ (২৫), দক্ষিণ সুরমা থানা ছাত্রদল নেতা কোহিনুর (৩৯), সিলাম টিকরপাড়ার মনিরুল ইসলাম তুরণ ((৩০), জামায়াত-শিবির নেতা কালা সোহেল (৩০), বরইকান্দির হারিছ (৩২), মুজাহিদ (৩০), মুজিব (২৮), ছাত্রদল নেতা সাব্বির (৩০), ছাত্রদল নেতা স্বপন (৩১), বারখলার আলাল (৩৫), খোজারখলার কালাম (৩০),বরইকান্দি কাজিরখলার অপু আহমেদ (২২), জামায়াতের আনোয়ারুল হক টিপু (২৮), কামুশনার সোহেল (২০), বানেশ্বরপুরের হাসনাত (২৭), নগরীর ঝালোপাড়ার শাহিন (৪০), নগরীর দপ্তরীপাড়ার রেজাউল করিম নাচন (৪০), রায়নগরের ফখরুল ইসলাম নাইম (৩৫), কদমলীর সায়স বক্ত (৩০), ধরাধরপুরের মাখন (৩৯), সিলাম টিকরপাড়ার মনিরুল ইসলাম তুরণ (৩৫), মোগলাবাজার এলাকার ককিল মিয়া (৩০), তুরুকখলা হারিয়ারচরের ইমাম উদ্দিন (৪২) ও মোগলাবাজার খড়ারিয়ার মইন উদ্দিন (৪০)। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া মোঃ শাহীনকে গতকাল শুক্রবার পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিনে সকাল থেকে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা নগরীর হুমায়ুন রশিদ চত্বরে অবস্থান নেন। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি দিলদার হোসেন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল গাফ্ফার, জেলা জামায়াতের আমীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানসহ সিনিয়র নেতারা অবস্থান নেন চত্বর এলাকায়। এদিন সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমা ছাত্রদলের বেশ কিছু নেতাকর্মী হুমায়ুন রশিদ চত্বর সংলগ্ন রেল লাইনে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি‘র কড়া প্রহরা ছিল চত্বর এলাকায়। দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ সদস্যরা ছাত্রদল কর্মীদের রেল লাইন থেকে হটিয়ে দেয় ও আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ সময় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা ১৮ দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে গিয়ে আগুন লাগানোর কথা জানান। নেতৃবৃন্দ বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে পুলিশ ফিরে আসে। এ সময় ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের কয়েক জন আকস্মিকভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও লাটি চার্জ শুরু ও এক পর্যায়ে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। ফলে, অবরোধকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে পুলিশের সাথে ইট পাটকেল ছুড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে পুলিশের সাতে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলে। এ সময় পিটে গুলিবিদ্ধ হন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল। বিকেলের দিকে গুরুতর আহত তাজরুল ইসলাম তাজুলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তার অবস্থা আশংকাজন বলে জানান বিএনপি নেতারা।
Posted ১৬:৪২ | শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin