| সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুটি বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে পালানোর সময় আটক যুবলীগ নেতা আবদুল গফফরকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার জেলার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালত গাফফারকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়।
এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া এলাকার বাড়ি দুটি সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসী আগুন আগুন বলে চিৎকার করে। এ সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করলে মুখোশধারী অবস্থায় এক দুবৃর্ত্তকে ধরে ফেলে। পরে তিনি যুবলীগ নেতা বলে দাবি করেন। রাতভর একটি গাছের সঙ্গে তাকে বেধে রাখে এলাকাবাসী।
আটককৃত যুবলীগ নেতা আবদুল গফফর একই এলাকার এলবার গাইনের ছেলে। পরে রোববার সকাল নয়টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আটক যুবলীগ নেতা আবদুল গফফর জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে তিনি হিন্দুদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পুলিশকে তিনি আরো তিনজনের নাম জানান।
জানা যায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা আবদুল গফফর এর নেতৃত্বে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত উত্তর পারুলিয়ার সুনিত সরদারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুটি বসত বাড়ি পুড়ে যায়।
সুনীত সরকার জানান, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান,আগুন ধরিয়ে দেয়ার সন্দেহে আবদুল গফফারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের আমির আসাদুজ্জামান মুকুল জানান, পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিয়ে জামায়াতের ওপর দায় চাপাতে আওয়ামী লীগ এ ঘটনা ঘটায়।
Posted ২৩:৩২ | সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin