| মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
স্টাফ রিপোর্টার : হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও অন্য মামলায় নিম্ন আদালতে নামঞ্জুর হওয়ায় জামিন মিলল না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও দলের চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুল ইসলাম শিমুল বিশ্বাসের।
তবে নিম্ন আদালতের ওই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু আগেই জামিনে থাকায় ও গতকাল হাইকোর্ট থেকে পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় জামিন পাওয়ায় জেল থেকে তার মুক্তির বিষয়ে আর কোনো বাধা নেই বলে জানা গেছে।
এছাড়া গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ মতিঝিল থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় বিএনপির আরেক নেতা হাফিজ উদ্দিনের (বীর বিক্রম) রিমান্ড ও জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মতিঝিল থানার আলাদা দু’টি মামলায় গতকাল বিকালে বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
গতকাল বিকালে ঢাকা মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর রিমান্ড ও জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। তবে প্রয়োজনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মতিঝিল থানার ১১ নম্বর মামলার আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিসার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। একই মামলায় গ্রেফতার চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু আগেই জামিন পান।
এছাড়া মতিঝিল থানায় সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের করা ৪৪ নম্বর মামলার আসামি হলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। শুনানির সময় বিএনপির এ শীর্ষ ৫ নেতাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে গতকাল সকালে আলাদা দু’টি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিসার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
গতকাল মঙ্গলবার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মওদুদ ছাড়া বাকি চারজন হলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। এর ফলে আবদুল আউয়াল মিন্টুর মুক্তির বিষয়ে কোনো বাধা রইলো না। তবে বাকিদের অন্য মামলায় জামিন না হওয়ায় তারা মুক্তি পাচ্ছেন না।
আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন ও ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
ভাংচুর ও সহিসংসতার ঘটনায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ও ৫ নভেম্বর মতিঝিল থানায় পুলিশ দুটি মামলা করে। গত ৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ৫ নেতাকে আটক করে পুলিশ। পরে এ দুই মামলায় ৫ নেতাকে আটক দেখায় পুলিশ।
Posted ১৬:০০ | মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin