| সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তিন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালতের তলবে হাজির হয়ে হত্যা মামলাটির তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি জাফর উল্লাহ।
গতকাল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। জামিন না পাওয়া আসামি তিনজন হচ্ছেন বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও কামরুল হাসান। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন এসএম মাসুদ হোসেন দোলন।
এদিকে আদালতের তলবে হাজির হয়ে হত্যা মামলাটির তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি জাফর উল্লাহ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এ তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে ৩ আসামির জামিনের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে মামলার তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায় সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তাকে ৫ মার্চ হাইকোর্টে হাজির হয়ে মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দেন আদালত।
ইতোমধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ কারণে ৫ মার্চ আসামিপক্ষের আইনজীবী বিচারপতি শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের আদালতে আবেদনটি পেশ করেন। কিন্তু ওই দিন শুনানির এখতিয়ার না থাকায় ওই বেঞ্চ এ বিষয়টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে এ বিষয়ে শুনানির এখতিয়ার যে বেঞ্চের আছে, সেই বেঞ্চে হাজির হয়ে আবেদনের শুনানি করতে পরামর্শ দেন। তদন্ত কর্মকর্তাকেও একই বেঞ্চে হাজির হতে বলেন।
এরপর রোববার আসামিপক্ষ বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি পেশ করেন। কিন্তু সেদিন কাগজপত্র না থাকায় সোমবার দিন ধার্য করে শুনানি গ্রহণ করেন আদালত।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রাজাবাজারের নিজ বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। এ ঘটনায় পরদিন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম।
মামলায় বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও কামরুল হাসানকে ওই বছরের ১০ অক্টোবর গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা আবার ডা. নিতাই হত্যা মামলার আসামি। ওই তিন আসামি গত সেপ্টেম্বরে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে আসামিদের আইনজীবী এসএম মাসুদ হোসেন দোলন বলেন, এ তিনজনকে ডা. নিতাই হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিলো ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। পরে তাদেরকে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়নি। তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ার পরও আসামিদের আটকে রাখা হয়েছে। তাদের জামিন দেওয়া হোক। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আমরা তদন্তের অগ্রগতি জেনে আদেশ দেবো।
এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুই মাস পর হাইকোটের্র নির্দেশে তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হত্যা মামলায় ওই তিন জনসহ মোট আট আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
Posted ১৩:৫৬ | সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin