| সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঢুকে আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনা গণতন্ত্রের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়াররম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, “পুলিশের সহযোগিতায় নেতাকর্মীরা যে হামলা চালিয়েছে তা গণতন্ত্রের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। দেশের একমাত্র আশ্রয়স্থল বিচার অঙ্গনে আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এ হামলা চালানো হয়। এটা দেশের জন্য শুভ হবে না। আওয়ামী লীগের জন্যও শুভ হবে না। জেল-জুলুম দমননীতি চালিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে না।”
রোববার দুপুর পর থেকেই বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবী ও অন্যরা আইনজীবী সমিতি ভবনে আটকা পড়েন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আইনজীবী সমিতির ভবন থেকে বের হয়ে যান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলীসহ বেশ কিছু আইনজীবী।
একই সময়ে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়ার সময় আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা বলেন, “বিচার অঙ্গনে বহিরাগতরা যে হামলা চালিয়েছে, এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করা হবে।”
আইনজীবীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসুচি দেয়া হবে।”
সকাল আটটার পর সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে তিনজন আইনজীবীকে আটক করে পুলিশ।
এরপর সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন থেকে আইনজীবীরা মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে।
প্রায় তিন শতাধিক লোকের এই মিছিলে আইনজীবীদের বাইরে সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সাবেক মন্ত্রী ওসমান ফারুক ছিলেন।
আইনজীবীদের মধ্যে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলী, সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী মিছিলে ছিলেন।
এছাড়া ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে একদল যুবককেও আইনজীবীদের ওই মিছিলে দেখা যায়।
Posted ০৮:৪৩ | সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin