নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর : শেরপুরের চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ বাজারটি শেরপুর ও জামালপুর জেলার মধ্যে অন্যতম পাইকারি সবজির বড় বাজার। ভোর থেকেই দুই জেলার সবজি বিক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেন এখানে। আগাম জাতের সব শীতের সবজিতে ভরে উঠেেেছ এই পাইকারি বাজার। সবজির ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা, তাদের মুখে ফুটেছে হাসি।
প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে এই বাজার। জামালপুর ও শেরপুর তো বটেই, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকেও সবজির পাইকাররা এখানে আসেন সবজি কিনতে। ভোর ৬ টার মধ্যে শুরু হয়ে এই পাইকারি বাজারের বেচাকেনা শেষ হয়ে যায় সকাল ৯ টার মধ্যেই। এখানকার এসব সবজি চলে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজারে বাজারে। এই বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, ঢেঁড়স, বেগুন, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, পটোলসহ
সব ধরনের শাকসবজি কিনতে পেরে খুশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকাররা। তবে শীত কেবল শুরু হওয়ায় সবজির দাম বেশ চড়া বলে জানালেন তারা।
স্থানীয় সবজি উৎপাদনকারী কৃষক মো. মামুন মিয়া বলেন, এ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় অনেক বাজার আছে। কিন্তু এই বাজার জেলায় সবচেয়ে বড়। খুব সকালেই এ বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে। আর এ বাজারে বেচাকেনাও হয় বেশি। আমরা এ
বাজারেই কাঁচা সবজি বিক্রি করে ভালো দাম পাই। কামারের চর থেকে আসা কৃষক তারা মিয়া বলেন, আমরা শীতের শুরুতে বেচবো বলে আগাম সবজি লাগিয়েছিলাম। দাম এখন ভালোই পাচ্ছি। কিন্তু সার-কীটনাশকের দাম বেড়েছে এখন। এগুলোর দাম কমলে আমরা সবজি বেচে আরও লাভবান হতে পারতাম।
জামালপুর থেকে আসা সবজির পাইকারি ক্রেতা আংগেস আলী বলেন, আগাম জাতের শীতের সবজি পাওয়া গেলেও একটু দাম বেশি। সব ধরনের সবজি পাওয়া যায় বলে আমরা পাইকারি ক্রেতারা এখান থেকে সবজি দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। টাঙ্গাইল থেকে আসা হুমায়ুন বলেন, আমি এখান থেকে মাল কিনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর বাজারে দেই। প্রতিদিন পাইকারি মাল কিনি। একদিন একটু দাম বেশি, আবার একদিন একটু কম। পাইকারি সবজি বিক্রতো আব্দুল কাদের বলেন, এই বাজারে যেদিন মাল বেশি ওঠে, ওই দিন মালের দাম কম থাকে। আর যেদিন মাল কম ওঠে ওই দিন দাম বেশি থাকে । এ বাজার শেরপুর জেলার সবচেয়ে বড় বাজার। আমরা কম দামে ভালা জিনিসটাই এ বাজারে পাই। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, এ বছর জেলায় ৮ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা গত বছরের চাইতে ২৬৫ হেক্টর বেশি। শীতকালীন সবজি চাষে শেরপুরের কৃষকদের সব ধরনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
Posted ১০:২৫ | বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin