শামীম ওসমানকে ‘খুনিদের খুনি’ আখ্যা দিয়ে নিহত ত্বকীর বাবা এবং সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেছে, “শামীম ওসমান খুনি নয়। তবে তিনি খুনিদের খুনি, ডাকাতদের সর্দার।”
মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস কাবের সামনে মেধাবী স্কুল ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকান্ডের ৫ মাস পূর্তি উপলক্ষে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, “শহরের টানবাজারের সুতা ব্যবসা, পরিবহন সেক্টর, চোরাই তেল, বালু সেক্টর থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। শামীম ওসমান বিএনপির আমল এলে তার নিজের অপকর্মের কারণে ভয়ে পালিয়ে যায়।”
ত্বকী হত্যার রহস্য উদঘাটনে তিনি শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান এবং ভাতিজা আজমির ওসমানের গ্রেফতার দাবি করে বলেন, এদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই ত্বকী হত্যার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। ত্বকীর ঘাতক লিটনের জবানবন্দি প্রসঙ্গে রাব্বি বলেন, লিটন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে একবার বলছে, ত্বকীকে আজমির ওসমানের টর্চার সেল উইনার ফ্যাশনে আবার বলছে হাজী রিপনের বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে। লিটন হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। তিনি লিটনের স্বীকারোক্তিতে যাদের নাম এসেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, লিটনের জবানবন্দিতেই প্রমাণিত হয়েছে ঘাতকরা সবাই ওসমান পরিবারের আশীর্বাদ পুষ্ট। আর অতীতে নারায়ণগঞ্জের অনেক হত্যাকান্ডের সঙ্গেও ওসমান পরিবারই জড়িত বলে তিনি দাবি করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক এস এম আকরাম বলেছেন, এ সরকারের আমলে ত্বকী হত্যার বিচার পাওয়া যাবে না। তবে পুলিশের পরিবর্তে মামলাটি র্যাব তদন্ত করায় কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে।
তিনি বলেন, নাসিম ওসমান, শামীম ওসমান গংরা ত্বকী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হতে দেবে না। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ত্বকী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। অনুষ্ঠানে ত্বকীর বাবা বলেন, শামীম ওসমান খুনি নয়। তবে তিনি খুনিদের খুনি, ডাকাতদের সর্দার।
রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস কাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, নাগিরক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষ বাবু, মহিলা পরিষদ নেত্রী শাহানারা বেগম প্রমুখ।