| মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট
মাননীয় সভাপতি , সাংবাদিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ,
প্রবাসীদের জীবন-মালের নিরাপত্তা ও সিলেটের ওসমানীনগরে রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার বিষ ক্রিয়ায় মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যান পরিষদের আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন।
আপনাদের প্রচন্ড ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দাওয়াত গ্রহণ করে আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে আপনাদের উপস্থিতি প্রবাসীদের কল্যাণে দুটি কথা বলবার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যান পরিষদ এর পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাকুরী আয় রোজগারের মূল লক্ষ্যই থাকে দেশে পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজনের সুখ ও জীবন চলার পথকে সুগম রাখায় সহযোগিতা করা। এবং সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যবসায় বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি ও শিক্ষাখাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। এমনকি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের বিশেষ করে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা রয়েছে। অথচ দুঃখজনক ভাবে হলেও সত্য যে প্রবাসীরা সর্বদায় নিজ মাতৃভূমিতে নানাভাবে অত্যাচারিত ,নিগৃহীত ও অবহেলিত। এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে নিজ আত্মীয় স্বজনদের দ্বারা নিপীড়িত। এই নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণ রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের উন্নয়নের এই চালিকাশক্তি রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিরাপত্তায় কোন আইন না থাকা ,বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘায়ন ও সামাজিক, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়।
জনাব রফিকুল ইসলাম এবং তার পরিবারের সদস্যরা ব্রিটিশ নাগরিক। মূলত সিলেটের ওসমানী নগরের দয়ামীর ইউনিয়নের বাসিন্দা।পরিবারটি বিগত মাসের শুরুতে তাদের ছেলের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিল। চিকিৎসার সুবিধার্থে ১৮ জুলাই পরিবার তাজপুর বাজারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। একই ভবনে থাকতেন রফিকুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিউজের মাধ্যমে জানা যায় মঙ্গলবার ২৬ শে জুলাই ২০২২ সকাল ১০ থেকে ১০;৩০ টার মধ্যে তাদের আত্মীয়রা ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে না পারায় পুলিশের সহযোগিতায় দরজা খুলে ভিতরে পাঁচজন অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর বাবা ও ছোট ছেলেকে মৃত ঘোষণা করা হয় | মা, ছেলে ও মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সম্মানিত জেলা পুলিশ অফিসার হত্যার মূল কারণ বিষ প্রয়োগ বলে মিডিয়ায় নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন রফিকুল ইসলাম, তার বয়স পঞ্চাশ এবং তার ছেলে মাইকেল ইসলাম (১৮)। রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা ইসলাম (৪০), মেয়ে সামিরা ইসলাম (১৯) ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২১) অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
• জেলা পর্যায়ের প্রবাসীসেলকে আরও একটিভ করতে হবে। প্রবাসীদের যুক্তিক দাবী দাওয়া নিয়ে বিপিকেপি নিয়মিত প্রশাসনের বৈঠক । প্রবাসী কল্যাণ সেল ও প্রশাসন মাসিক নিয়মিত বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে।
Posted ১৭:০৩ | মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin