নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | প্রিন্ট
পোষ্য কোটা ও মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এতে ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার এ স্মারকলিপি দেন তারা।
স্মারকলিপির বলা হয়েছে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছি, যার মধ্যে অন্যতম অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি। এই কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদেই বিগত জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস রচিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের এই স্বাধীন ক্যাম্পাসে আর কোনো প্রকার অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি দেখতে চাই না। বিগত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৫৩৪ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৫৩৭ জন এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৬২১ জন শিক্ষার্থী কোটার মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। যার একটি বড় অংশ অযৌক্তিক পোষ্য কোটা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা। আমরা এই দুইটি অযৌক্তিক কোটা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা থাকলেও তা সর্বোচ্চ ১% করতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ফি কমানোও সময়ের দাবি। দাবিগুলো ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম থেকে কার্যকর হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথমবর্ষে মোট আসনের ১৪ শতাংশ কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৬১, শারীরিক প্রতিবন্ধী ১২২, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি/নাতনী ১৯৫ ও পোষ্য কোটায় (বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তার পুত্র/কন্যা) ১৫৬ জন। তবে এই পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন সংগঠন নানা সময় আন্দোলন করেছে। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন
Posted ০৯:০৪ | বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain