| বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সাধারণ মানুষও চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হাসপাতালটির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, এক লাখ পাঁচ হাজার বর্গফুটে নবনির্মিত এ ভবনের ফলে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২৫০ থেকে বেড়ে ১১০০ হয়েছে। মোট জনবল ৮০০ ও চিকিৎসক রয়েছেন দেড় শতাধিক। নতুন ভবনের কারণে আইসিইউ, সিসিইউ এবং এসডিইউ সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে।
হাসপাতালটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপান্তরের চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘এ হাসপাতালে ক্যানসার ছাড়া সব ধরনের রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকছে। কয়েকটি দেশের বিখ্যাত কিছু হাসপাতালের সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। সিঙ্গাপুরের একাধিক হাসপাতালের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) রয়েছে। আমরা অন্যান্য উন্নত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে এমওইউ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সুযোগ সাপেক্ষে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। এখানে হার্টের রিং পরানোর ব্যবস্থা করা হবে। আগামী বছর এ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
পুলিশ প্রধান আরও বলেন, নতুন ভবনটি ‘জরুরি বিভাগ ভবন’ নামে পরিচিত হবে। যেখানে অত্যাধুনিক জরুরি ব্যবস্থাপনা, লাশ সংরক্ষণ, অর্থোপেডিক সার্জারি, মেডিসিন, আধুনিক ডেন্টাল চিকিৎসা, চোখ, নাক-কান-গলার সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি, কার্ডিওলজি-সিসিইউ, আইসিইউ এইসডিইউ ছাড়াও রয়েছে ক্যান্টিন ও লাইব্রেরি থাকছে।’
‘এর পর বিভাগীয় এবং জেলা হাসপাতালগুলো যেখানে আছে সেসবের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হবে। আর পুরো প্রক্রিয়াটি প্রধানমন্ত্রীর কারণেই হয়েছে। সরকার অনুমোদন করলে অবশ্যই এটি মেডিকেল কলেজ করা হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের জন্য মেডিকেল কলেজও প্রয়োজন’-যোগ করেন আইজিপি।
এসময় সড়কে নারী ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপালনকালে টয়লেট অসুবিধার প্রসঙ্গ টেনে বেনজির আহমেদ বলেন, তিন থেকে পাঁচ মিনিট দূরত্বে টয়লেট সুবিধা আছে এমন জায়গায় ট্রাফিকের নারী সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হচ্ছে।
চলমান করোনাকালে নির্বিঘ্ন সেবা দিতে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মহাকাব্যিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা চিকিৎসায় এ হাসপাতালের সেবা সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এখানে শুধু পুলিশ সদস্যদেরই নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ নাগরিকদেরও করোনা চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে (সিপিএইচ) মাত্র ছয় সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। তিনি এ কাজে সহযোগিতার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ টিকা দেয়ার ক্ষেত্রেও সিপিএইচ এগিয়ে রয়েছে। আজ পর্যন্ত এ হাসপাতালে ২৮ হাজার জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সদস্য ছাড়া পুলিশ সদস্য ছাড়া সাধারণ মানুষ রয়েছেন তিন হাজার জন।
আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদেরকে প্রতিনিয়ত ক্রিটিক্যাল অবস্থায় চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে পুলিশ সদস্যরা সাধারণ রোগের পাশাপাশি পাকস্থলী, কিডনি ও হার্টের অসুখসহ ক্যানসারের মতো কঠিন রোগে ভোগেন। তাদের চিকিৎসায় আমরা এ হাসপাতালে গ্লোবাল লেভেল ট্রিটমেন্ট দিতে চাই।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ মেডিকেল সার্ভিস গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগও নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।’
কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ডাকাত নিহতের প্রসঙ্গ
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত জকিরসহ তিনজন নিহত হন। এ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আর্মড গ্যাং আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করলেই আমরা সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করবো। সরকার অস্ত্র দিয়েছে লাঠি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য না। আমাদের কেউ গুলি করলে আমরা তো বসে থাকতে পারি না।
Posted ১৬:২৫ | বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain