বাংলাদেশের রাজনীতিতে চলমান ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লাই। রোববার এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মধ্যকার দূরত্ব ঘোচাতে ব্যর্থ হওয়ায় সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি এমন এক সময়ে এই উদ্বেগের কথা জানালেন যখন গত কয়েক সপ্তাহে দেশে সরকারি দল, বিরোধী দলীয় কর্মী সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কিছু মানুষ নিহত ও বহু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত সপ্তাহে শাহবাগে একটি পাবলিক বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোলবোমায় ১৯ জনের অগ্নিদগ্ধ হওয়া ও দু’জনের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে নাভি পিল্লাই বলেন, ‘এই ধরনের সহিংসতা বাংলাদেশের জনগণের জন্য খুব দুঃখজনক। যাদের অধিকাংশেরই চাওয়া একটি শান্তিপূর্ণ এবং সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন।’
নাভি পিল্লাই সম্প্রতি বিরোধী দলীয় বেশ কয়েক জন নেতার গ্রেপ্তার ও আটকের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই গ্রেপ্তার ও আটক পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলবে এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব যাই থাক উভয়পক্ষের রাজনীতিকদেরই তাদের ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম বন্ধ করতে হবে। এটা বাংলাদেশকে ক্রমশ ভয়ঙ্কর সমস্যার দিকে ধাবিত করছে। তাদের অবশ্য দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং এই ধরনের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধে তাদের প্রভাব খাটাতে হবে। একইসঙ্গে এই সমস্যা সমাধানে আলোচনার পথও খুঁজতে হবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সনদে বাংলাদেশ অন্যতম অনুসমর্থনকারী দেশ বলেও তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সহিংসতার পথ এড়িয়ে দেশে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য সরকার ও বিরোধী দলকে আবারো আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া আগামী ৬ ডিসেম্বর আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর ঢাকা আসার কথা রয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Related