| সোমবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মদিবসে রাজধানীতে সভা-সমাবেশ বা মিছিলের কর্মসূচি না দিতে অনুরোধ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। রাজধানীতে এমন কর্মসূচি দিলেই তীব্র যানজট হয় বলে এমন অনুরোধ করেছেন তিনি।
সোমবার ঢাকার পান্থকুঞ্জ পার্কের পাশে আধুনিক পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন করার সময় তিনি এই অনুরোধ জানান মেয়র খোকন। জনভোগান্তি এড়াতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন কর্মসূচি দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এমনিতেই তীব্র যানজটে ভোগা রাজধানীর প্রধান কোনো সড়কে যদি যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে বা বন্ধ থাকে, তাহলে যানজট পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠে। গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণমিছিলের কারণে সেদিন রাজধানীতে দুঃসহ ভোগান্তি হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগের সেদিন এই কর্মসূচি নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত ছিল।
যানজট হয় বলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ পল্টন ময়দান এবং মুক্তাঙ্গনে সভা-সমাবেশের অনুমতি এখন দেয়া হয় না। উন্মুক্ত স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই এখন হয় সমাবেশ। কিন্তু এই উদ্যোগও যানজট কমাতে কার্যকর প্রমাণ হয়নি। কারণ সমাবেশে মিছিল বা গাড়িতে করে আসা নেতা-কর্মীদের চাপে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে আশেপাশে। এই অবস্থায় আগামী ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যেন জনভোগান্তি না হয়, সে জন্য নেতা-কর্মীদেরকে আগেই সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তবে মেয়র সাঈদ খোকন বলছেন, ‘কর্মদিবসে সমাবেশ বা মিছিলের কর্মসূচি দিলে ভোগান্তি হবেই। সতর্ক থেকেও কোনো লাভ হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করবো তাদের বড় রাজনৈতিক কর্মসুচিগুলো যেনো ছুটির দিনে দেয়। তাহলে নগরবাসী যানজটের নাকাল অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পা্বে।’
মেয়র বলেন, ‘আমরা প্রায়ই দেখি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সমাবেশ করে থাকে বিভিন্ন ধরনের র্যালি করে থাকে। সেই আলোকে ঢাকার মেয়র হিসেবে সকল রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গসংগঠনকে বিনীত অনুরোধ জানাবো, তাদের বৃহৎ কর্মসূচিগুলো যেন সরকারি ছুটির দিনে দেয়।’
মেয়র বলেন, ‘আপনারা দেখছেন শাহবাগ চত্বরে গোটা পঞ্চাশেক কিংবা একশত জন কিছু দাবিতে এই ইন্টারসেকসন বন্ধ করে দেয়। যার ফলে সারা শহর স্থবির হয়ে যায়। প্রেসক্লাবে পঞ্চাশ জনের একটি র্যালি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সারা শহর থমকে পড়ে। এ সমস্ত কর্মকাণ্ড বিবেকবর্জিত। এ সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিহার করে আমরা আমাদের মতামতগুলো ব্যক্ত করবো। কিন্তু জনসাধারণের কষ্ট যাতে লাঘব হয় জনগণের যেন কষ্ট না হয় সেদিকে অবশ্যই বিবেচনা হওয়া দরকার।’
ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশকে আরো বেশি সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘তাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো্, যখন গুটি কয়েক মানুষ কোন একটা রাস্তা বন্ধ করে দেয় সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তাটা উন্মুক্ত করার একটা প্রচেষ্টা তাদের অবশ্যই নিতে হবে।’
পান্থকুঞ্জে আধুনিক পাবলিক টয়লেট
ঢাকা নগরীর জন্য পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সিটি করপোরেশন ও ওয়াটার এইডের যৌথ উদ্যোগে এবং এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এই টয়লেট স্থাপন করা হয়।
আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন টয়লেটে নারী এবং পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে লকার, হাত ধোয়া, গোসল এবং বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সুবিধা রয়েছে।
এই টয়লেটে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ এবং বাইরের দিকে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। পেশাদার পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং নারী তত্ত্বাবধায়ক সেবা দেবে নগরবাসীকে। তবে এই সেবার জন্য সামান্য কিছু টাকা দিতে হবে ব্যবহারকারীদেরকে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় পর্যায়ক্রমে এ ধরনের ১০০টি টয়লেট স্থাপন করা হবে বলে জানান মেয়র সাঈদ খোকন। বলেন, তারা আশা করছেন, এই উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
Posted ০৮:৩৩ | সোমবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain