বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৮ মিনিটে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। প্রথমে শুনানি করেন আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। সরকার পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব এ আলম। বেলা ১১টা পর্যন্ত শুনানির পর আদালত আধঘণ্টার জন্য মুলতবি করা হয়।
শুনানি উপলক্ষে সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। আদালতে প্রবেশের প্রতিটি ফটকেই পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। আদালত প্রাঙ্গণের ভেতরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যকে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর আইনজীবীদের আবেদনে মঙ্গলবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রায় কার্যকর স্থগিত করেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ ফাঁসি কার্যকর করার কথা ছিল। সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ফাঁসির রায় কার্যকর করার স্থগিতাদেশ বিষয়ে এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রিভিউ আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকরের ওপর চেম্বার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।