নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মহানবী (স.) ও সাহাবায়ে কেরামের জীবনীতে মোবাইলে বিয়ের কোনো উদাহরণ না থাকলেও বর্তমান যুগের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার কারণে শর্তসাপেক্ষে মোবাইলে বিয়ে করার অবকাশ রয়েছে। এক্ষেত্রে শরিয়তসমর্থন করে—এমন পদ্ধতি তথা পাত্র-পাত্রীর পক্ষে আকদ-নিকাহ কবুল করার জন্য উকিল মনোনীত করবে এবং দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তারা আকদ-নিকাহ সম্পন্ন করবে। পাত্র-পাত্রী দূরদেশে থাকা অবস্থায় আকদ-নিকাহ করতে হলে নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিদ্বয় হতে কোনো একটি অবলম্বন করবে।
১. পাত্র টেলিফোনে দেশে একজনকে তার পক্ষে উকিল (স্থলাভিষিক্ত) নির্ধারণ করবে। যখন বিয়ের মজলিসে দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে পাত্রীর পক্ষ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অভিভাবক বলবে আমি বিদেশে বসবাসকারী অমুকের কাছে এত টাকা মহরে মেয়েকে বিয়ে দিলাম। তখন উকিল বলবে আমি পাত্রের পক্ষে কবুল করলাম। (বাদায়েউস সানায়ে: ২/২৩১, আদ্দুররুল মুখতার: ৩/১৪, ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া: ১১/১৬১)
২. পাত্রীর পিতা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অভিভাবক দেশ থেকে টেলিফোনে বিদেশে তার পক্ষে বিয়ে দেওয়ার জন্য একজন উকিল মনোনীত করবে এবং ওই উকিল সেখানে বিয়ের মজলিসে সাক্ষীর উপস্থিতিতে বলবে, আমি অমুক মেয়েকে এই ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিলাম। ছেলে তখনই বলবে কবুল করলাম। উক্ত পদ্ধতিদ্বয়ের কোনো একটি অবলম্বন করলে বিয়ে হয়ে যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ২/২৩১, আদ্দুররুল মুখতার: ৩/১৪, ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া: ১১/১৬১)
মূলত অডিও বা ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব-কবুল (প্রস্তাব-গ্রহণ) হওয়া এবং তা একই মজলিসে হওয়া জরুরি। টেলিফোন-মোবাইল যতই উন্নত হোক না কেন, তার দ্বারা মজলিসের শর্ত পূর্ণ হয় না বিধায় এতে আকদ সম্পাদন হবে না। তাই ওপরে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মোবাইলে কোনো ব্যক্তিকে উকিল বানিয়ে এবং উকিল সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল সম্পন্ন করতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার: ৩/১৪, ফতোয়ায়ে উসমানি: ২/৩০৫)
মেসেজ বা ই-মেইলের বিয়ে শুদ্ধ নয়। মেসেজ বা ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরিত বিয়ের প্রস্তাব প্রেরকের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার পর দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন নারী সাক্ষীর সম্মুখে তা পাঠ করবে। এতে অপর পক্ষ তা মৌখিকভাবে কবুল করলে বিয়ে শুদ্ধ হবে। (খুলাসাতুল ফতোয়া: ২/৪৯, রদ্দুল মুহতার: ৩/১২)
Posted ০৬:১৮ | রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain