বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মানবাধিকার সংগঠন সেভ বাংলাদেশের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেছেন, মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্র ইতিহাসে একটি জঘন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি খান নামধারী ছিলেন, অথচ তার বংশের চৌদ্দ গোষ্ঠীর মধ্যে কেউ খান উপাধিধারি নেই। তারা বলেন, দেশপ্রেমিক সৎ ন্যায়নিষ্ঠ ইসলামী রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করে ক্ষমতায় থাকার সাধ আওয়ামী লীগের পূরণ হবে না। মীর কাসেম আলীকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সাজানো সাক্ষীর পরিবর্তে এবার শুধুমাত্র তথাকথিত একটি বইয়ের উপর নির্ভর করে শাস্তি দেয়া হয়েছে যা বিশ্বে নজিরবিহীন, এটা আইনের পরিষ্কার লঙ্ঘন। তারা বলেন, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। আ’লীগ বন্দুকের নলের জোরে এখন ক্ষমতায় টিকে থাকার শেষ চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণমানুষের দল নয়, এরা দেশের শত্রু, ইসলামের শত্রু, উন্নয়নের শত্রু।
গত মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সেভ বাংলাদেশ সংগঠনের চেয়ারম্যান মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইউকের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, ইউকে বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, ব্যারিস্টার বদরে আলম দিদার, মুফতি শাহ সদর উদ্দিন, দিদারুল আলম মজুমদার, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সহ সম্পাদক মাহবুব আলী খানশূর, অধ্যক্ষ মুহম্মদ মোজাম্মেল হোসাইন, ছাত্রনেতা তারেক আজিজ রোমান,সাবেক শিবির নেতা মোঃ আব্দুল মুকিত রাজিব, মুহম্মদ আলাউদ্দিন, সোলায়মান মজুমদার রাসেল, তরিকুল ইসলাম, মুহম্মদ ফখরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন স্বপন, সাঈদ, নজিবুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা বলেন, এডভোকেট কামরুল ইসলাম দেশের আদালত ও প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবো এবং আমরা বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের ঘৃণ্যতর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
ইউকে বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তিকে দুর্বল করতেই আমাদের জোটের নেতাদের হত্যা করছে। সরকারের সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন করছি, ভবিষ্যতেও করবো। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
ছাত্রনেতা তারেক আজিজ রোমান বলেন, জামায়াত নেতাদের হত্যা করে আওয়ামীদের শেষ রক্ষা হবে না। এদের পতনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। দেশের জনগণ আওয়ামীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। যেদিন সারা দেশের জনগণ জাগবে সেদিন আওয়ামীদের কবর রচনা হবে।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের গণমানুষের দল হলো ২০ দলীয় জোট। এতে অবৈধ বাকশালীরা আতঙ্কিত হয়ে বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মীদের হত্যা করছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দী করে রাখছে। আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এদের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। দেশে জনগণের সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী কবর রচিত হবে বাংলাদেশে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী নেতৃত্ব শূন্য করতেই একের পর এক সরকারের মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জামায়াত নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে। জামায়াতের ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীকে হত্যার ষড়যন্ত্র তারই ধারাবাহিকতা। মীর কাসেম আলী ন্যায়বিচার পায়নি, তাকে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় হত্যার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
Like this:
Like Loading...
Related