| শনিবার, ০৫ মার্চ ২০১১ | প্রিন্ট
দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, আদালতের রায়ে কারাদণ্ড ভোগ করলেও সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী মাহমুদুর রহমান রায়ের রিভিউ আবেদন করতে পারেননি। বিচারপতিরা রায় না লেখায় তিনি এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এভাবে অধিকার খর্ব করে বিচারপতিরা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
আদালতসহ যারা মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতন করেছে ভবিষ্যতে তাদের জনতার আদালতে দাঁড়াতে হবে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, আদালতের রায়ে সংবিধান পুনর্মুদ্রণ হলেও বাস্তবে আইন মন্ত্রণালয় তাদের ইচ্ছামত ৭০টি অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনেছে। এখন প্রশ্ন হলো, সুপ্রিমকোর্ট কোন সংবিধানের সংরক্ষণ করবেন। সংসদে পাস হওয়া সংবিধান নাকি নতুন মুদ্রিত সংবিধান। এ অবস্থায় সংবিধানশূন্যভাবে দেশ চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এমকে আনোয়ার প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, হারুন অর রশীদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, একরামুল হক, প্রকৌশলী মুয়ীদ রুমী, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জুয়েল, আসাদুজ্জামান চুন্নু, ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফরিদউদ্দীন আহমদ, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, হাসিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক প্রমুখ।
সরকার মাহমুদুর রহমানকে আইনবহির্ভূতভাবে নির্যাতন করেছে অভিযোগ করে এমকে আনোয়ার বলেন, আদালতের আইনবহির্ভূত রায়ের ফলে মাহমুদুর রহমান ৮ মাস ধরে বন্দি। সংবিধানের নিরাপত্তা বিধান করা যাদের দায়িত্ব সেই সুপ্রিমকোর্টের আইনবহির্ভূত রায়ের ফলেই মাহমুদুর রহমানের মতো একজন সম্পাদককে কারাগারে থাকতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি জানতে চাই মাহমুদুর রহমানকে কোন আইনে বন্দি রাখা হয়েছে, এখনও রায়ের কপি দেয়া হয়নি। এটা কি সংবিধান লঙ্ঘন নয়? তিনি বলেন, দেশ এখন সংবিধানশূন্য অবস্থায় চলছে। তিনি প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, আপনি বলেছিলেন আপনি নিজেও আইনের ঊর্ধ্বে নন। আমি আপনার সেই কথার প্রতিফলন চাই।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আগামী ১৮ মার্চ পেশাজীবীদের নেতা প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানকে দেশবাসী মুক্ত অবস্থায় দেখতে চায়। এ দাবি নিয়ে সব শ্রেণীপেশার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের মুক্তির লক্ষ্যে আমরা তার মুক্তি দাবি করছি।
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, কারও দয়া নয়, আইনগতভাবেই দেশবাসী মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ের অগ্রসৈনিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চায়। এরপরও সরকার কোনো টালবাহানা করলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে পেশাজীবীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।
রিয়াজুল ইসলাম রিজু বলেন, মুক্তমনের কলমসৈনিক মাহমুদুর রহমানকে আটকে রেখে লাভবান হতে চাইলেও প্রকৃতপক্ষে সরকার জনরোষে পড়েছে। সারাদেশে তার মুক্তি নিয়ে আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তাকে মুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরে যাব।
Posted ২১:১৯ | শনিবার, ০৫ মার্চ ২০১১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin