| শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট
সরবরাহ কমায় রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে মাছ, মাংস ও তেলের দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অজুহাত সরবরাহ কমায় মোকামে দাম বেড়েছে। এতে জীবন-যাপনের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলো।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি মাছের দাম ৩০-৫০ টাকা, মাংসের দাম ২০-৩০ টাকা ও তেলের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সবধরনের সবজি ও মুদি পণ্যের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি এককেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১০০০ টাকা, ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ টাকা, এককেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বাজারে সবধরনের মাছের দাম কেজিতে ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি রুই ২৮০ থেকে ৪২০ টাকা, পাবদা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা, চিতল ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, আইড় ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, বাইলা ৮০০টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, পোয়া ৬০০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে সবধরনের মাংসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪৮০ টাকায়। খাসির মাংস ৮৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২১০ টাকা, কক মুরগি ১৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোলা সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৮৫ টাকা। আর ৫ লিটারের প্রতি গ্যালন রূপচাঁদা তেলে ২০ টাকা বেড়ে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকা হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪৮০ টাকা। পুষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৪৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪৫০ টাকা। তীর ৪৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪৭০ টাকা। ফ্রেস ৪৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪৫০ টাকা। এছাড়া খোলা সরিষার তেল প্রতিকেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্চে। গত সপ্তাহে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কাঁচাবাজারগুলো দেখা গেছে, পণ্যের মান ভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিকেজি করলা ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা কেজি এবং মুলা ২৫ টাকা, নতুন আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি।
অপরিবর্তিত রয়েছে চাল ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম। বাজারে প্রতি নাজির ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা আটা ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, আমদানি করা চিনি ৫০, ডাল ৪০ থেকে ৯০, লবন ৩০ থেকে ৩৫, পোলাওর চাল ৯০ থেকে ৯৫ বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে সবধরনের ডিমের দাম। মুরগির ডিম প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১০০ টাকা। হাঁসের ডিম ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
Posted ১৫:৪৫ | শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain