| বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা, ৮ জানুয়ারি : দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ঘোষণা এবং এরপরই তাকে গৃহবন্দি করে রাখার ঘটনা দৃষ্টি কেড়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। এ অবস্থা বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিএনপি ও খালেদা জিয়ার প্রতি অধিকতর সহানুভূতিশীল করে তুলছে। তার অবস্থানকে তুলনা করা হচ্ছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র সাথে।
বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে বেগম খালেদা জিয়া নিজেও দাবি করছেন, তিনি কার্যত গৃহবন্দি। সরকার তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আর একই ঘটনা ঘটেছিলো অং সান সু চির ক্ষেত্রেও। এ খবর ফলাও করে প্রচার করছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
বিবিসি একাধিকবার খালেদা জিয়া ‘কার্যত গৃহবন্দি’ বলে তাদের খবরে জানিয়েছে। বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে বালুভর্তি ট্রাক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরদার পাহারার বিষয়টি ছবি ও ভিডিও আকারে যুক্ত করা হয়।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গৃহবন্দি খালেদা জিয়ার নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে সাড়া পড়েছে। তাই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ‘বাংলাদেশ রুলিং পার্টি উইন্স ইলেকশন্স মারড বাই বয়কট, ভায়োলেন্স’ শীর্ষক খবরে সিএনএন জানায়, প্রধান বিরোধী নেতাকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে, যা গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি রেখে জবরদস্তি একটি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। তার বাড়িসংলগ্ন সড়কগুলোয় বালুভর্তি ট্রাক ফেলে রাখা হয়েছে, যেন তিনি বাড়ি থেকে বের হতে না পারেন। প্রধান বিরোধী নেতার এমন বন্দিত্বে দেশটির গণতন্ত্র আজ প্রশ্নের মুখে। এমনটি চলতে থাকলে বাংলাদেশের জন্য আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে সামনে।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউইয়র্ক টাইমস, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক প্রভাবশালী প্রায় সব বার্তা সংস্থাই খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে সরকার এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ করছে।
বিশ্ব গণমাধ্যমের প্রচারণায় ক্রমেই অং সান সু চি হয়ে উঠছেন খালেদা জিয়া। মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে ২ দশকেরও বেশি সময় গৃহবন্দি করে রেখেছিল দেশটির সামরিক জান্তা। সে সময় বিশ্ব গণমাধ্যমে তার গৃহবন্দিত্বের খবর ফলাও করে প্রচার করা হত, যা আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সহানুভূতি আদায় ও তার মুক্তির জন্য সামরিক সরকারকে চাপে ফেলতে ভূমিকা রেখেছিল। এসব সংবাদে সু চিকে গণতন্ত্রকামী নেত্রী হিসেবে তুলে ধরা হত।
Posted ১০:৩৪ | বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin