নিজস্ব প্রতিবেদক,
ঢাকা: প্রধান বিরোধী দলসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সঙ্গত কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্রে ঝামেলার কারণে ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি সেসব এলাকায় ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করা হবে।
রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ”ভোট আয়োজনের জন্য দুটি বিষয় জরুরি। এর মধ্যে একটি কারিগরি প্রস্তুতি, যেটি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে করেছে। আরেকটি বিষয় রাজনৈতিক। আপনারা রাজনৈতিক অবস্থা জানেন।” ‘আমি নিজেও ঢাকার একটি কেন্দ্র ঘুরে এসেছি’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ”পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সেখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হচ্ছে।”
সারাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। প্রথমে যেসব এলাকায় নির্বাচন হচ্ছে না সেগুলো দেখা হবে। সহিংসতা হচ্ছে সেগুলো দেখব। সহিংতা হয়েছে, হচ্ছে। তাই এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।” এদিকে সহিংসতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত এবং আহতদের বিষয়ে সিইসি বলেন, ”নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হামলাকারীদের বিচারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”
কত শতাংশ ভোট পড়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সব এলাকায় একযোগে ভোট চলছে। হিসেবে মিলাতে সমস্যা হচ্ছে। দুপুরের পরে আপনাদের একটা জানানোর চেষ্টা করব। তবে বিকেলে জানা যাবে কত শতাংম পড়েছে।” বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দিচ্ছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, “যাদের তালিকা নেই তারা ভোট দিতে পারবেন না। রিটার্নিং অফিসাররা যদি অনিয়ম করে তাদেরও আইন মোতাবেক বিচার করা হবে। আইনের বরখেলাপ করা যাবে না বলে দেয়া হয়েছে।”
যে পরিমাণ ভোট পড়ছে তাতে নির্বাচনের গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এগিয়ে যান।