সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিবাহের সঠিক পদ্ধতি

  |   মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

বিবাহের সঠিক পদ্ধতি

ইসলামে বিবাহ মানে একটি বন্ধনের নাম। এটি হলো সামাজিক চুক্তির নাম। বিবাহের মাধ্যমে ইসলাম মুসলিম নারীদের তাদের জীবন-যাপনের প্রতিটি বিষয়ে একটি ইন্সুরেন্স দিয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটা বিধান হচ্ছে বিবাহ। এর পদ্ধতি ইসলাম সহজ করেছে। এর পদ্ধতি হচ্ছে মেয়ের পরিবার প্রস্তাব দেবে ছেলের পরিবার সেটায় সায় দেবে। এরপর সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে বিবাহ হবে।

 

যেহেতু পুরো জীবন নির্ভর করছে তাই বিয়েতে লুকোচুরি থাকবে না। তাই দুই পরিবারের সঙ্গে অন্যদেরও রাখতে হবে। কিংবা ঘোষণা দিতে পারে। এ ছাড়া পাত্রীর অভিমত নিতে হবে। এরপর বিয়ের চুক্তির সঙ্গে তাকে একটা সম্মানী দিতে হবে। সেই সম্মানী নামই হলো মোহরানা। এই সম্মানীর একমাত্র মালিকানা ওই নারীরই থাকবে। এরই মাধ্যমে ইসলাম অনুযায়ী বিবাহ হয়।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে বিয়ের প্রতি উৎসাহ ও তাকিদ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু আইয়ুব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘চারটি জিনিস নবীদের চিরাচরিত সুন্নত। ১. লজ্জা-শরম, ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৩. মেসওয়াক করা এবং ৪. বিয়ে করা।’ -সুনানে তিরমিজি: ১০১৮

 

বিয়ে কাকে করবেন এ সম্পর্কেও নবী করিম (সা.) নির্দেশনা দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘চারটি কারণ বিবেচনা করে কোনো নারীকে বিয়ে করা হয়। ১. ধন-সম্পদ, ২. বংশমর্যাদা, ৩. সৌন্দর্য ও ৪. দ্বীনি চেতনা। অতএব, দ্বীনি চেতনাকে অগ্রাধিকার দাও, তোমার হাত কল্যাণে পূর্ণ হয়ে যাবে।’

 

বিয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেনমোহর। মোহরের পরিমাণ স্বামীর অবস্থানুযায়ী বেশি বা কম হতে পারে। উভয়পক্ষ একমত হয়ে এ ব্যাপারে যা নির্ধারণ করবে তাই ধার্য হবে। হজরত আবুল আজফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেছেন, ‘সাবধান! তোমরা নারীদের মোহর উচ্চহারে বৃদ্ধি করবে না। কেননা, তা যদি দুনিয়াতে সম্মানের বস্তু অথবা আল্লাহর কাছে তাকওয়ার বস্তু হতো তবে তোমাদের চেয়ে আল্লাহর নবী এ ব্যাপারে বেশি উদ্যোগী হতেন। কিন্তু হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বারো উকিয়ার বেশি মোহরে তার কোনো স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন অথবা কোনো কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই।’ -সুনানে তিরমিজি: ১০৫১

 

বর্ণিত হাদিস থেকে বুঝা যায়, মোহরের পরিমাণ একেবারে সামান্য হওয়া যেমন ঠিক নয়, যদিও তাতে বিয়ে হয়ে যাবে। তেমনি খুব বেশি আকাশচুম্বী পরিমাণও যথার্থ নয়, বিশেষ করে তা আদায়ের কোনো বাধ্যবাধকতা যদি না থাকে। বরং তা আদায়ের নিয়ত না থাকলে তো বিয়েই বৈধ হবে না।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৫৫ | মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com