নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। লাভ হবে না, বেঈমানদের কেউই বিশ্বাস করে না, ইতিহাসও ক্ষমা করে না। স্বার্থ হাসিল করে ছুড়ে ফেলে দেবে, ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, যতদিন জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উদ্যোগে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাসে ওরা (বিএনপি) ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাদের বেগম সাহেবরা ভারত যাচ্ছে ঈদের শপিং করতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করেছে, বিএনপি এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে এদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। সে কারণে এদেশের জনগণকে আমরা সবসময় আমাদের সঙ্গে পাই। এদেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিল এবং থেকে আসছে। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা নৌকার ভোটারদের টলাতে পারে নাই। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত।
তিনি বলেন, সেই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জনগণ থাকে, যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই দেশের মানুষ আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে। তাই শেখ হাসিনা একনাগাড়ে চারবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, দেশের মানুষের প্রতি সহমর্মী হতে হয়, দুর্নীতি পরিহার করতে হয়, এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়। দক্ষতা নাই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই ওরা দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। এছাড়া আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
Posted ১৪:৩৭ | বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain