প্রজ্ঞাপনটিতে স্বাক্ষর করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আব্দুস সামাদ। এতে বলা হয়েছে- জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
মহাপরিচালক পদটি নিয়ে বিটিভিতে দীর্ঘদিন ধরেই অচলাবস্থা চলছিল। ম. হামিদের ওপর শিল্পী-কুশলীসহ রাষ্ট্রীয় এ প্রচার মাধ্যমটির অনেক কর্মীই ছিলেন নাখোশ। ওঠে নানা অভিযোগ। তিন এ পদে আসার পর পর তার স্ত্রী ফাল্গুনী হামিদ, মেয়ে তনিমা হামিদ, ভাই মাহমুদ সাজ্জাদ, শ্যালিকা তুলিকা চৌধুরীসহ নিকটাত্মীয়রা নিয়ম না মেনে একের পর এক নাটকে অভিনয় করেছেন। নিয়মিত শিল্পীদের চেক বিভিন্ন সময়ে আটকে গেলেও ম. হামিদরে পরিবারের সদস্যরা নিয়মিতভাবে তা পেয়েছেন। এ নিয়ে শিল্পীরা ছিলেন দারুণ ক্ষুব্ধ। এ ছাড়া কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই প্রচারিত হয়েছে তার ঘনিষ্ঠদের একের পর এক প্যাকেজ অনুষ্ঠান। শুধু তাই নয় তার জামাতাকে দিয়ে বিটিভির নিউজরুমের নানা প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাবেক মহাপরিচালকের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে ক্যাম্পাস তারকা নামের একটি অনুষ্ঠান। প্রচুর অর্থব্যয়ে নির্মিত এ অনুষ্ঠানটি প্রাইম টাইমে প্রচার করায় বিটিভির রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করেছে। এ অনুষ্ঠানটি তৈরিতে ম. হামিদের নির্দেশে বহিরাগত কর্মীরা কাজ করেছেন। বিটিভির কর্মীরা এ কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের এই ক্ষোভের কথা এক সময় মন্ত্রণালয়েও পৌঁছে যায়। কিন্ত এ স্বেচ্ছাচারিতার কোনো জবাব মহাপরিচালকের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি বলেই জানা গেছে।
বিটিভি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ম. হামিদের নির্দেশেই বিটিভিতে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা মঞ্চ নাটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল ম. হামিদ তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য নানা চেষ্টা তদ্বির করছেন। কিন্ত তার সে চেষ্টাতে কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বদলে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নানকে।