| রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতেই ৫৯টি বিল উথাপিত হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বাজেট পাসের পর সন্ধ্যায় বাজেট-উত্তর নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত থাকবেন। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছরের এ বাজেট কার্যকর হবে।
এর আগে শনিবার (২৯ জুন) বড় ধরনের কোনও সংশোধনী ছাড়াই অর্থবিল-২০১৯ পাস হয়। জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে, তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ১৩ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ও অর্থবিল- ২০১৯ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেদিন বেলা ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।
শুরুতে দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরবর্তীতে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। এর আগে মন্ত্রিসভা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়। বাজেট ঘোষণার আগে দুপুর ১টার একটু পর জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে এ অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অসুস্থতার কারণে আসতে দেরি হওয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ছাড়াই মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। পরে অর্থমন্ত্রী অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে সরাসরি বৈঠকে যোগ দেন।
চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার দাঁড়ায় চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় করতে না পারা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায়, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।
পূর্বপশ্চিম
Posted ১২:২৯ | রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain