২০১৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কড়া নজর রয়েছে। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন রাজনৈতক কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে বাইরের দেশের আলোচিত গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে।
রবিবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ আরো কয়েকটি দল। এ নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না।
এরই মধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও কমনওয়েলথসহ আরো কয়েকটি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে না আসার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে সব দল অংশ নিচ্ছে না। এ নির্বাচন একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে বারবার বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন করতে বলা হলেও বাংলাদেশ তাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাছাড়া গত কয়েকদিন আগে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় সহিংসতার মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। সহিংসতায় ১৭০ জন নিহত হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত দুই দিন আগে ইউরোপিয় ইউনিয়নের মুখপাত্র ক্যাথরিন অ্যাস্টন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি দল সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে সমর্থ নয়।’
বিশ্বের মোট ৮২টি দেশের নেতা মনে করছেন, বাংলাদেশের আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। এটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। অধিকাংশই নেতাই মনে করছেন, জনগণের ভোট ছাড়াই যখন অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন তখন সে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কীভাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুজ্জামান আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারির পরে দেশে যে সরকার আসবে সেটি হবে অগণতান্ত্রিক সরকার। এটি দেশে আরো সহিংসতা সৃষ্টি করবে।’
ন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভেশন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক না আসা বাংলাদেশের জন্য একটি সতর্কবার্তা।’
Like this:
Like Loading...
Related