| শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
সংলাপের ব্যাপারে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে বারবার ফোন করলেও তিনি ধরছেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আর মির্জা ফখরুলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নম্বর থেকে তার কাছে কোনো ফোন যায়নি।
এ বিষয়ে আশরাফ বলেন, “আমার কাছেও ওনার নম্বর সেভ করা আছে। তবে সেভ করা সেই নম্বরটি থেকে আমার কাছে কোনো ফোন আসেনি। আমি জনসম্মুখে ওনার নম্বর প্রকাশ করতে চাই না।”
আলোচনা করার আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে ফখরুলকে কথা বলারও পরামর্শ দেন তিনি।
“গতকাল প্রেস ক্লাবে ওনার নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। উনি আগে ওনার নেত্রীর সঙ্গে কথা বলুক। ওনার নেত্রী যদি বলে আলোচনার সুযোগ আছে তাহলে আলোচনা করা যাবে।”
এর আগে শুক্রবার দুপুরে মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান সঙ্কট নিরসনে সরকার সংলাপের যে কথা বলছেন তা সঠিক নয়। বাস্তবতা হচ্ছে, বিরোধীদলের তরফে বারবার চেষ্টার পরও সরকার উদ্যোগী হচ্ছে না। বিগত কয়েকদিন ধরে আমি ব্যক্তিগতভাবে সৈয়দ আশরাফ সাহেবকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরছেন না।
মির্জা আলমগীর বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে বিগত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর বাসভবনে একটি বৈঠকের কথা ছিল। আমি সেখানে উপস্থিত হলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেননি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১০ই নভেম্বর থেকে তৃতীয় দফার হরতাল কর্মসুচি শুরু হয়। কিন্তু হরতাল কর্মসুচি শুরু হওয়ার আগেই আমি সরাসরি ফোনে ও নানা মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে করি। শেষে একটি বিশেষ সূত্রে তার ব্যক্তিগত সহকারির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। এ সময় চলমান সঙ্কট উত্তরণে আমি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সংলাপের তাগিদ দিই। জবাবে তিনি জানান, আমাদের দুইজনের মধ্যে সংলাপ করে কোন লাভ হবে না। প্রয়োজন দুই তরফেই ৪-৫জনের একটি প্রতিনিধি দল। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতির প্রয়োজন। মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে আমি যুক্তি তুলে ধরে বলেছিÑ প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ফোনে বিরোধী নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রতিদিনই প্রকাশ্যে তিনি সংলাপের দুয়ার খোলা ও দাওয়াত বহাল আছে বলে জানাচ্ছেন। আপনারাও একই কথা বলছেন। তাহলে নতুন করে অনুমতি লাগবে কেন? কিন্তু সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বারবার প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আমরা মনে করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী সংলাপের অনুমতি দেবেন এবং আমরা দ্রুত এ নিয়ে সংলাপে বসতে পারবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের তরফে কোন সাড়া পাইনি। মির্জা আলমগীর বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে আমি ব্যক্তিগতভাবে বারবার সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ফোনে ফোন করেছি। যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি ফোনও ধরছেন না, যোগাযোগও রক্ষা করছেন না। সরকারের তরফে সংলাপের ইস্যুতে কোন কথাই বলছেন না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সংলাপের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
Posted ০২:৫৫ | শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin