সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে ধ্বংস করতে এরাই যথেষ্ট : মাহফুজ আনাম

  |   শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০১৩ | প্রিন্ট

এই ধরনের মন্ত্রী, উপদেষ্টা থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আসলেই কোনো শত্রুর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী, তার সরকার ও তার দলকে বিব্রত এবং ধ্বংস করার জন্য এরাই যথেষ্ট। সম্প্রতি দুটি ঘটনায় এটা প্রমাণিত হয় যে, শেখ হাসিনা যাদের নিয়োগ দিয়েছেন, অথবা যেসব কর্মকর্তা তার চারপাশে রয়েছেন, তারা সরকার পরিচালনায় অক্ষম।

চাতুর্যের সঙ্গে যা করা সম্ভব, তা তারা করেন দাম্ভিকতার সঙ্গে। যা যুক্তির মাধ্যমে করা সম্ভব, তা তারা করেন শক্তি দিয়ে। যা আইনি পথে করা সম্ভব, তা তারা করেন বেআইনিভাবে।

প্রথমে বলা যায় বিলবোর্ডের ব্যাপারটি। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও তার দলে কি একজন লোকও ছিলেন না যিনি বিষয়টির পদ্ধতিগত অবৈধতার বিষয় তুলে ধরতে পারতেন? অধিকারের রিপোর্ট সামলানো ও এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি অদক্ষতার একটি উদাহরণ। এর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, তা সরকার ও বাংলাদেশকে সারা দুনিয়ার কাছে বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখী করেছে। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ একটি বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে; এবং বাংলাদেশ যার প্রাপ্য নয়। এটা আমাদের ওপর আনা শেখ হাসিনা সরকারের উচিত হয়নি।

‘দ্য ডেইলি স্টার’ ৫ মে হেফাজতের সমাবেশ ও রাতের ঘটনা কাভার করেছে। ওই ঘটনায় মৃত্যুর ব্যাপারে রিপোর্টের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক ছিলাম। ওই সময় এবং এখন পর্যন্ত অধিকার বর্ণিত নিহতের (৬১) সংখ্যার ব্যাপারে আমরা একমত নই। আমরা মনে করি, সরকারের অধিকার রয়েছে অধিকার বর্ণিত সংখ্যার নিহতদের নাম ও ঠিকানা জানার। তথ্য মন্ত্রণালয় ১০ জুলাই তা জানতে চেয়ে অধিকারকে চিঠি দিয়েছিল। এক সপ্তাহ পর অধিকার যখন সরকারকে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল এ নিয়ে আদালতে যাওয়া। আমাদের মতে, এটি একটি ভালো মামলা হতো এবং খুব সম্ভবত আদালত অধিকারকে তথ্য দেয়ার নির্দেশ দিতেন।

অদক্ষতা ও দাম্ভিকতা আবার ফিরে আসে যখন এক মাস অপেক্ষা করার পর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাত সাড়ে নয়টায় স্ত্রী ও সন্তানসহ বাড়ি ফেরার পথে আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করে। সরকারের সামনে এ নিয়ে যেসব বিকল্প ছিল তার মধ্যে রয়েছে-


১. প্রশ্ন জিজ্ঞাস করার জন্য দিনের বেলায় তাকে আনা যেত।

২. তাকে নোটিশ দেয়া যেত যে, আইন রয়েছে এনজিও সরকারকে তথ্য দিতে বাধ্য।

৩. প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া যেত।

৪. মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা যেত।

৫. সরকার বিশ্বস্ত কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে পারত, যে সংস্থা অধিকারের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করতে পারত। এবং সরকারের দাবিমতো তাদের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করতে পারত। আদিলুরকে শুধু গ্রেপ্তারই করা হয়নি, এমনকি তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে। সৌভাগ্যবশত হাইকোর্ট তা বাতিল করেছেন। আমরা সবাই জানি রিমান্ডে কী হয়?

মাহ্ফুজ আনাম 

সম্পাদক,

ডেইলি স্টার।

                                                         

 For news : news@shadindesh.com

For News : news@shadindesh.com
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:২৪ | শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০১৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com