| রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
বিরামপুর( দিনাজপুর): পুলিশের সামনেই পুলিশ কর্মকর্তা বাবা আফতাব হোসেনকে (৬০) খুন করেছেন ছাত্রলীগ নেতা।গত ১৫ জানুয়ারি ছুরিকাহত হওয়ার পর রোববার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। আফতাব হোসেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর নেন। তাকে হত্যাকারী ছাত্রলীগ নেতা খোরশেদ আলম মানিক (২৮) তার বড় ছেলে এবং বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিরামপুর শহরের পূর্বজগন্নাথপুর মহল্লায় নিজ বাড়িতে আফতাব হোসেন বসবাস করতেন। পারিবারিক কোন্দলের জের ধরে গত ১৫ জানুয়ারি রাতে বড় ছেলে খোরশেদ আলম মানিক ছোট ছেলে মুকুটের দোকান ভাঙচুর করে। দুই ভাইয়ের ঝগড়া-বিবাদ থামাতে বাবা আফতাব হোসেন থানা পুলিশে খবর দেন।
বিরামপুর থানার এএসআই হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বড় ছেলে মানিক ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা আফতাব হোসেনের পেটের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ছোট ছেলে মুকুট বাবাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। চারদিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর ৫টার দিকে আফতাব হোসেনের মৃত্যু হয়।
বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের উজ্জ্বল, মোর্তুজাসহ একাধিক নেতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জানান, ছাত্রলীগ নেতা মানিক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম রাজুর ছত্রছায়ায় এরআগে নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সবুজকে মারধর করে। উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্যাডার হিসেবেই সে বেশি পরিচিত। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক বিবাহিত ও সন্তানের জনক। তাই তার ছাত্রলীগ করার কোনো অধিকার নেই। নিজের বাবাকে হত্যার বিষয়টি কোনো অবস্থায় ছাত্রলীগ সমর্থন দেবে না।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, আফতাব হোসেনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Posted ১৪:৪৫ | রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin