| বুধবার, ০৫ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ওয়ার্ড বয় দিয়ে রোগীর অপারেশন করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির পচিালক ও রেজিস্ট্রার আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের পচিালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শহিদ এবং রেজিস্ট্রার ডা. মো. শহিদুল ইসলাম আদালতের কাছে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না এ মর্মে অঙ্গিকার নামা দিয়ে মুক্তি পান তারা।
বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ওয়ার্ড বয় দিয়ে কেন রোগী অপারেশন করা হচ্ছে তার কারণ জানাতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের পরিচালক ও রেজিস্ট্রারকে তলব করেছিল আদালত। আজ নির্ধারিত দিনে তারা স্বশরীরে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ওইদিন আদালত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ওয়ার্ড বয় কর্তৃক রোগীর অপারেশন করার বিষয় তদন্ত কমিটি করে তার রিপোর্ট ৪ সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলেছিলেন। পাশাপাশি দেশের হাসপাতালগুলোতে উন্নত ও নিরাপদ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
স্বাস্থ্য সচিব, সহকারী সচিব, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও সম্পাদক, রাজশাহী মেডিকেলের পরিচালক এবং রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
‘স্বাস্থ্য নেশা চিকিৎসা সেবা: চিকিৎকেরা ব্যস্ত রাজনীতি ও দলবাজিতে, অপারেশনের ছুরি-কাঁচি ওয়ার্ড বয়দের হাতে’ শিরোনামে ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন সংযুক্ত করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী ও এখলাস উদ্দিন ভূইয়া।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি এর্টনি জেনারেল বিশ্বজিত রায়। –
Posted ১২:১৪ | বুধবার, ০৫ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin