রবিবার ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীতে দুই রঙয়ের পানি, যা বলছে কোরআন ও বিজ্ঞান

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

নদীতে দুই রঙয়ের পানি, যা বলছে কোরআন ও বিজ্ঞান

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বুড়ো গৌড়াঙ্গ নদীতে দুই রঙয়ের পানি দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সাধারণ ঘটনা হলেও সোনারচর ঘুরতে আসা কেউ কেউ একই নদীতে দুই রঙয়ের পানি দেখে বিস্মিত হচ্ছেন। এবং হয়ে উঠছেন বেশ কৌতূহলীও।

 

তবে সারা পৃথিবী জুড়েই এটি একটি খুবই সাধারণ ঘটনা। আধুনিক বিজ্ঞানে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। তবে স্থানীয় আলেম ওলামারা বলছেন, এ বিষয়ে প্রায় সাড়ে ১৪’শ বছর পূর্বে পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ- وَهُوَ الَّذِي مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَّحْجُورًا

অর্থাৎ: ‘তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, একটি সুমিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও  আরেকটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল’। (সূরা: ফুরকান, আয়াত: ৫৩)

এ সংক্রান্ত আরো কয়েকটি আয়াত

مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَا يَبْغِيَانِ فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

অর্থ: ‘তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক আড়াল, যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। অতএব (হে মানব ও জ্বীন) তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে’? (সূরা: আর রাহমান, আয়াত: ১৯-২১)

أَمَّنْ جَعَلَ الْأَرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلَالَهَا أَنْهَارًا وَجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا ۗ أَإِلَٰهٌ مَعَ اللَّهِ ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

অর্থ: ‘কে পৃথিবীকে করেছে অবাসযোগ্য এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছে নদী-নালা? আর তাতে স্থাপন করেছে সুদৃঢ় পর্বতমালা এবং দুই সাগরের মাঝখানে সৃষ্টি করেছে অন্তরায়? আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না’। (সূরা: নামল, আয়াত: ৬১)

পৃথিবীর বেশ কয়েকটি স্থানে পাশাপাশি প্রবাহিত সমুদ্র বা নদীর পানির মধ্যে স্পষ্ট ব্যবধান খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা যায়, পাশাপাশি প্রবাহিত হলেও দুই সমুদ্রের পানির রঙ ও গঠন আলাদা এবং তারা একটি অন্যটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে না। অর্থাৎ, কোনো একটা অদৃশ্য দেয়াল যেন কাজ করছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই ব্যবধান? এই ব্যবধানের অন্যতম কারণ হচ্ছে নদীর পানির ক্ষেত্রে ঘনত্বের ও সমুদ্রের পানির ক্ষেত্রে লবণাক্তটার পার্থক্য। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় হ্যালোক্লাইন (Halocline)।

সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:৩১ | বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com