সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পুরুষ চিকিৎসক নয়: হাইকোর্ট

  |   রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট

ধর্ষিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পুরুষ চিকিৎসক নয়: হাইকোর্ট

Highcort

২০ এপ্রিল :  সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে পুরুষ চিকিৎসক দিয়ে নারীর বয়স নির্ণয় বা ধর্ষিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদেশের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দিয়ে তাকে আদালত অবমাননার থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধর্ষিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নারী চিকিৎসক, নার্স ও এমএলএসএস নিয়োগ বিষয়ে আদালতের আদেশ কেন মানা হয়নি সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিকে তলব করে গত ২ এপ্রিল আদেশ দেন আদালত।

আদালতের আদেশ মোতাবেক আজ তিনি হাজির হলে আদালত ডিজিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “আমরা আপনাদের ডাকতে চাই না। আপনারাও ব্যস্ত মানুষ।”  ডিজি বলেন, “আমি নতুন নিয়োগ পেয়েছি। মাত্র এক মাস হলো।”  এ সময় তার আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম বলেন, “আদালতের আদেশ মোতাবেক নারী ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।”  আদালত বলেন, “এতো ডাক্তার পেলেন কোথায়।”

জবাবে তিনি বলেন, “যেখানে যেভাবে পেয়েছি সেভাবে নারী ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের সব অগ্রগিত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তবে সব রেজিস্ট্রার দফতরে দেয়া হয়েছে, এখানে না দেয়ায় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।”

পরে আদালত ডিজিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “আপনারা তদারকি করবেন।” এরপর আদালত ডিজিকে অব্যাহতি দিয়ে রুল নিষ্পত্তি করে দেন।  আদালতে ডিজির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।  ২০১৩ সালের এপ্রিলে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঢাকা মেডিকেলে ফরেনসিক বিভাগ, নারীর জন্য এ কেমন ব্যবস্থা?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ধর্ষণের শিকার নারীর শারীরিক পরীক্ষা করেন পুরুষ চিকিৎসক। ওই চিকিৎসককে সহায়তা করেন পুরুষ ওয়ার্ড বয়। দেশের সবচেয়ে গৌরবময় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের প্রমাণপত্র নিতে এসে নারীকে চরম লজ্জা আর অপমানের মুখোমুখি হতে হয় প্রায়ই।’

এ প্রতিবেদনটি একই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী। এরপর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ঢাকা মেডিকেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নারী চিকিৎসক, নার্স ও এমএলএসএস নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন এবং একটি রুল জারি করেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:৫০ | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com