| রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ | প্রিন্ট
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যে দেশে পুলিশের বুটের নিচে মানুষ পিষ্ট হয়, দুস্থ লোকজন ডাস্টবিন থেকে খাবার তুলে খায়, যেখানে গণতন্ত্র ও সুশাসন নেই, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব শান্তির মডেল উপস্থাপন করেছেন। সংবাদ পড়ে আমি মনে মনে হাসছিলাম। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আগে আপনার ঘরের অবস্থা দেখুন।শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ‘শান্তি-কেন্দ্রিক উন্নয়ন’ মডেল তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারের আমলে দেশে সুশাসন তিরোহিত হয়ে গেছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে চলছে দলীয়করণ। কোথাও চাকরি চাইলে প্রথমে দেখা হয়—তার বাবা-দাদারা আওয়ামী লীগ করতেন কিনা। বিএনপি করলে চাকরি নেই। পদোন্নতি নেই।পুলিশি নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘পাঁচ পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, এমন নেতার পায়ের নখ পুলিশ তুলে ফেলেছে। আমরা এমন সরকারের শাসনে বাস করছি যেখানে প্রতিপক্ষের সভা সমাবেশে আক্রমণ করা হয়। পুলিশ একজন নাগরিককে বুট দিয়ে পিষে মারে। আমরা এমন এক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বাস করছি, যেখানে একজন আইনজীবীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘে শান্তির ভাষণ সত্যিই বেমানান।’তিনি বলেন, ‘জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে আমরা একমত নাও হতে পারি। তিনি যদি কোনো আইন ভঙ্গ করেন তার বিচার করুন। কিন্তু তাকে ধরে নিয়ে মেরে পা ভেঙে দেবেন, হাতকড়া লাগিয়ে চোর-ডাকাতের মতো ছবি তুলবেন—এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র? কোন ধরনের সংস্কৃতি?’মির্জা আলমগীর ভাষণের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি বলেছেন, বিশ্ব শান্তির জন্য আমি এ প্রস্তাব দিতে চাই। কিন্তু দেশের মানুষের অবস্থাটা কী? দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। গণতন্ত্র অবরুদ্ধ হয়ে আছে।ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়ার কারণে এ দলটি মনে করে, বাংলাদেশটা তাদের তালুকদারি, এটা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এখানে অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না।২৭ সেপ্টেম্বরের জনসভায় সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে জানিয়ে তাতে সক্রিয় থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেন বিএনপি মহাসচিব।সংগঠনের (ঢাকা মহানগর উত্তর) আহ্বায়ক ইয়াসিন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
Posted ২১:১৪ | রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin