| শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
রাজধানীর বাজারগুলোতে অধিকাংশ দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি, মাছ, গরুর মাংস, খাসি মাংস ও ব্রয়লার মুরগির। প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।
শুক্রবার রাজধানীর সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, নয়াবাজার, রায়সাহেব বাজার, সেগুনবাগিচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় চিনির দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি চিনি দাম ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। এছাড়া চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির দাম এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে নতুন আসা সবজি বরবটির বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। পটল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৭০ টাকায়। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, ধুন্দুল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। তুলনামূলক একটু কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, পাকা টমেটো, শশা ও গাজর। পেঁপে আগের মতোই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, গাজর পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আগের মতোই ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। আর পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকা কেজি। মুরগির মতো অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজার ভেদে গরুর মাংস ৫৫০-৫৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি।
এদিন গত সপ্তাহের মতো প্রতিকেজি তেলাপিয়া মাছ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা । পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, রুই ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, চিতল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে চাল ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম। বাজারে প্রতি নাজির ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, ডাল ৪০ থেকে ৯০, লবন ৩০ থেকে ৩৫, পোলাও চাল ৯০ থেকে ৯৫। তবে বেড়েছে সবধরনের ডিমের দাম মুরগির ডিম প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা। হাঁসের ডিম ডজন ১৫৫ টাকা, দেশী মুরগির ডিম ডজন ১৭০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া খোলা সোয়াবিন তেল ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর পাঁচ লিটারের প্রতি গ্যালনে রুপচাঁদা ৫০০ টাকা, পুষ্টি ৪৭০ টাকা, তীর ৪৯০ টাকা, ফ্রেস ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা সরিষার তেল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছি।
পিবিডি
Posted ১২:৫৬ | শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain