নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
দাড়ি রাখা ইসলামের শিআর বা নিদর্শন। এটি সকল নবীর সুন্নত। আল্লাহ তাআলা পুরুষকে দাড়ি দিয়ে নারী জাতি থেকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন। ‘রাসুলুল্লাহ (স.) গোঁফ খাটো এবং দাড়ি লম্বা করার নির্দেশ দিতেন।’ (সহিহ মুসলিম: ১/১২৯, ২৫৯)
যেকোনো বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নির্দেশ থাকলে সেটি ওয়াজিব হয়ে যায়। দাড়ি রাখার ব্যাপারেও হানাফি, শাফেয়ি, মালেকি ও হাম্বলি মাজহাবের সকল ইমামের ঐকমত্য রয়েছে যে, দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং দাড়ি মুণ্ডন করা বা শেভ করা হারাম। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘দশটি কাজ প্রকৃতির অন্তর্গত, এর মধ্যে প্রথম দুইটি হচ্ছে- গোঁফ খাটো করা, দাড়ি বড় করা।’ (মুসলিম: ২/৫১১)
প্রশ্ন হলো— দাড়িবিহীন ব্যক্তির পেছনে নামাজ পড়া যাবে কি না? এর জবাব হলো— কোনো ব্যক্তি যদি দাড়ি কেটে-ছেঁটে কিংবা মুন্ডিয়ে এক মুষ্টির কম রাখে, তাহলে এমন ব্যক্তি শরিয়তের দৃষ্টিতে ফাসিক বলে গণ্য। আর শরিয়তের বিধান হলো- ফাসিক ব্যক্তির ইমামতি করা মাকরুহে তাহরিমি এবং তার পেছনে নামাজ পড়াও মাকরুহে তাহরিমি।
অতএব, যদি সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারে—এমন দাড়িওয়ালা ব্যক্তি উপস্থিত থাকেন, তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে উপরে বর্ণিত ব্যক্তির ইমামতি করার অধিকার নেই। যদিও তিনি সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন।
হ্যাঁ, ওই জামাতে যদি কোরআন সহিহ-শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করার কেউ না থাকে, তাহলে প্রয়োজনের তাগিদে বর্ণিত ব্যক্তির ইমামতি ও তার পেছনে নামাজ পড়া জায়েজ হবে। তবে, দাড়ি না রাখার কারণে ওই ব্যক্তির গুনাহ হতে থাকবে।
(সূত্র: ফতোয়ায়ে শামি: ১/৫৬০; খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/১৪৫; ফতোয়ায়ে রহমানিয়া: ১/২৪৬) সূএ : ঢাকা মেইল ডটকম
Posted ০৮:৫১ | শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain